ব্যথা কমবে কোন খাবারে? ছবি: সংগৃহীত।
দীর্ঘক্ষণ একটানা বসে কাজ করতে গিয়ে কোমরে, পিঠে, ঘাড়ে ব্যথা এখন ঘরে ঘরে। বয়স হলে এমনিই গায়ে-গতরে ব্যথা হয়। তবে ইদানীং কম্পিউটার বা ল্যাপটপের সামানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা টানা বসে কাজ করার ফলে অপেক্ষাকৃত কম বয়সীরাও নানা ধরনের ব্যথায় ভুগছেন। বিভিন্ন ব্যথার কারণ আলাদা। তার চিকিৎসাও আলাদা। তবে খাবারের পাতে যদি কয়েকটি জিনিস রাখা যায়, তাহলে কিছুটা হলেও ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হতে পারে। এতে স্বাস্থ্যও ভাল হবে।
হলুদ
বেশির ভাগ রান্নাতেই হলুদ অপরিহার্য। এই মশলার গুণও কিছু কম নয়। এতে নানা ধরনের খনিজ ও ভিটামিন রয়েছে। হলুদ শরীরের প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে। ব্যথা বেদনায় চুন-হলুদ মিশিয়ে লাগানোর চল বহু পুরনো। এতে কাজও হয় বেশ। ঘুম ভাল করতে, গা-হাত পায়ে ব্যথায় অনেকেই গরম দুধে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে খান। দুধ ছাড়াও যে কোনও সব্জি রান্নার সময় হলুদ সাধারণত ব্যবহার করা হয়। সেভাবেও খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া চাইলে ‘স্মুদি’তে মিশিয়েও খেতে পারেন। অনেকে খালি পেটে কাঁচা হলুদ খান। তাতেও কাজ হবে।
আদা
আদাও গায়ে, হাত-পায়ে ব্যথা কমাতে সহায়ক। এতে থাকা উপাদান শরীরে প্রদাহ কমায়। আদাতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। যা শরীর ভাল রাখতে সাহায্য করে। রান্নায় মশলা হিসাবে ব্যবহারের পাশাপাশি আদা, চায়ে মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে। কাঁচা আদাও চিবিয়ে খাওয়া যায়।
মাছ
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত মাছ শরীরের জন্য এমনিতেই ভাল। এই ধরনের মাছে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন ও খনিজ। মাছে থাকা অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
বেরি জাতীয় ফল
ব্লু বেরি, র্যাসপবেরি, স্ট্রবেরি-সহ যে সমস্ত ফলে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে সেগুলি রাখুন প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়। অ্যান্ট-অক্সিড্যান্টস শরীরে প্রদাহ ও ব্যথা কমাতে সহায়ক।
বাদাম
আখরোট, পেস্তা, আমন্ড-সহ বিভিন্ন বাদামে রয়েছে ‘গুড ফ্যাট’। প্রতিদিন কয়েকটা ভেজানো বাদম যদি খাওয়া যায়, শরীর এমনিতেই ভাল থাকবে। হাড়ের স্বাস্থ্য মজবুত করতেও বাদাম উপযোগী। এতে থাকে খনিজ ও ভিটামিন।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। বিভিন্ন কারণে ব্যথা হতে পারে শরীরে। তার জন্য জরুরি সঠিক চিকিৎসাও। তবে শরীর ভাল রাখতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়াও জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy