হাড়ের জোর বাড়বে কিসে? ছবি: সংগৃহীত।
বুড়ো বয়সে যাতে হাড়ের রোগ না হয় বা হাঁটু প্রতিস্থাপন করাতে না হয়, তার জন্য আগে থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ডি খেতে শুরু করেছেন। তা সত্ত্বেও অস্থিসন্ধির নমনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এই বয়সেই মাটি থেকে উঠতে গিয়ে কোমর, হাঁটু চড়চড় করছে। সিঁড়ি দিয়ে উঠতে গেলেও হাঁটুতে বেশ কষ্ট হচ্ছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই সমস্যার শিকড় আরও গভীরে। হাড় ক্ষয়ে যাওয়া বা হাড়ের জোর কমে যাওয়ার পিছনে অন্য কারণও থাকতে পারে। যা শুধু ওষুধ খেয়ে সামাল দেওয়া যাবে না। প্রতি দিনের অভ্যাসে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনতে হবে।
কী ধরনের অভ্যাস হাড়ের ক্ষতি করতে পারে?
১) ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন:
হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। দেহের অতিরিক্ত ওজন দেহের কোমর, হাঁটু, গোড়ালির উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। তাই আগে সে দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।
২) নিয়মিত শরীরচর্চা:
ওজন নিয়ন্ত্রণই বলুন বা হাড়ের স্বাস্থ্য— নিয়মিত শরীরচর্চা করলে দুই-ই ভাল থাকে দেহের বিভিন্ন অস্থিসন্ধি সংলগ্ন পেশি মজবুত না হলে চোট পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে। তাই নিয়মিত হাঁটাহাটি করা, সাইকেল চালানো বা সাঁতার কাটার মতো শরীরচর্চা করার প্রয়োজন রয়েছে।
৩) শোয়া, বসার ভঙ্গি:
হাড়ের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে শোয়া বা বসার দোষে। দীর্ঘ ক্ষণ মেরুদণ্ড বেঁকিয়ে বসে বা শুয়ে থাকলে তার উপর চাপ পড়ে। ভুল ভঙ্গিতে দীর্ঘ ক্ষণ বসলে বা শুয়ে থাকলে কোমর, ঘাড় কিংবা কাঠামোগত সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেক ক্ষণ হিল জুতো পরে থাকলেও কিন্তু মেরুদণ্ডের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৪) বিশ্রাম নেওয়া জরুরি:
হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে শুধু শরীরচর্চা করলেই হবে না। পর্যাপ্ত বিশ্রামও নিতে হবে। তবেই টিস্যুর ক্ষত নিরাময় হবে এবং নতুন কোষ তৈরি হবে। হাড়ের ক্ষয় রোধ করতেও রাতে সাত থেকে ন’ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে।
৫) সঠিক জুতো পরা:
শরীরচর্চা করা বা হাঁটাহাটি করার সময়ে ভুল জুতো পরলেও কিন্তু হাড়ের সমস্যা হতে পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন, পায়ের আরাম হয় এমন জুতো না পরলে পায়ের পাতার স্নায়ু, লিগামেন্টের উপর চাপ পড়ে। তখন কিন্তু উপকারের বদলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy