১ থেকে ৪ বছর বয়সি শিশুদের মধ্যে লিউকেমিয়া বেশ দেখা যায়। ছবি: শাটারস্টক।
রক্তের ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে প্রতি দিন। এই রোগে আক্রান্ত হলেই অজানা মৃত্যুভয় গ্রাস করে সর্ব ক্ষণ। যে কোনও বয়সে ব্লাড ক্যানসার হতে পারে। শিশুদের মধ্যে এই ক্যানসারের আশঙ্কা বেশি। এই রোগে আক্রান্ত হলে রক্তের মধ্যে থাকা উপাদানগুলির অনিয়ন্ত্রিত গঠন ও বিস্তার হতে থাকে। সে লোহিত রক্তকণিকা হোক বা শ্বেত রক্তকণিকা হোক বা প্লেটলেট। সাধারণত ব্লাড ক্যানসারকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। একটি হল অ্যাকিউট বা তীব্র এবং অন্যটি হল ক্রনিক বা দীর্ঘস্থায়ী।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতীয় শিশুদের মধ্যে যে ক্যানসারগুলি বেশি দেখা যায়, তার মধ্যে লিউকেমিয়া অন্যতম। ১ থেকে ৪ বছর বয়সি শিশুদের মধ্যে লিউকেমিয়া বেশ দেখা যায়। লিউকেমিয়া হল রক্তের ক্যানসার, যেখানে অপরিণত শ্বেত রক্তকণিকাগুলি অস্থিমজ্জায় অনিয়ন্ত্রিত হারে বাড়তে শুরু করে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল হতে শুরু করে এই রোগে আক্রান্ত হলে।
শিশুদের মধ্যে লিউকিমিয়ার কোন উপসর্গগুলি দেখলে সতর্ক হবেন?
১) রক্তাল্পতার জন্য দুর্বলতা, খাবারের অরুচি, বুক ধড়ফড়, পায়ে জল জমে যাওয়া, ত্বক ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া।
২) দীর্ঘ দিনের জ্বর বা ঘনঘন জ্বরে পড়া।
৩) অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ।
৪) লসিকাগ্রন্থি ফুলে যাওয়া। লিভার ও প্লীহার আকার বেড়ে যাওয়া।
৫) কোনও কারণ ছাড়া শিশুর ওজন অনেকটা কমে যাওয়া।
৬) হাড়ে তীব্র ব্যথা।
৭) ঘন ঘন ঘুম ঘেমে যাওয়া।
রক্তের ক্যানসারের ধরন এক বার নির্ণয় করা গেলে তার পরে চিকিৎসার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। কেমোথেরাপি, ইমিউনোথেরাপি, রেডিয়োথেরাপি ইত্যাদি। আবার বেশ কিছু ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ রোগ নিরাময়ের জন্য অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনও করা হয়ে থাকে। তবে সবার আগে প্রয়োজন সতর্কতার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy