রোজ পিনাট বাটার খেলেই কমতে পারে ওজন, কী করে তা সম্ভব? ছবি: শাটারস্টক।
ভুঁড়ি কমাতে চান? কিন্তু বেশি পরিশ্রম করতে পারবেন না? আর বেশি সময়ও দিতে পারবেন না? তা হলে সহজ সমাধান হতে পারে পিনাট বাটার। ভাবছেন মাখন খেয়ে কী করে ওজন কমবে? শুনতে অবাক লাগলেও কথাটি সত্যি। রোজ পিনাট বাটার খেলেই কমতে পারে ওজন। কী করে তা সম্ভব? পুষ্টিবিদদের মতে, পিনাট বাটারে রয়েছে ট্রিপটোফান নামের এক উপাদান, যা ক্যালোরি ঝরাতে সাহায্য করে। তা ছাড়া এতে থাকা ফাইবার ও প্রোটিন অনেক ক্ষণ পেট ভর্তি রাখে, খাওয়ার ইচ্ছে কমিয়ে দেয়। তাই ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে।
ডায়েটে কী ভাবে রাখবেন পিনাট বাটার?
১) কলার সঙ্গে পিনাট বাটার খেলে আরও ভাল ফল পাওয়া যাবে। কলায় রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম। তা ট্রিপটোফানের সঙ্গে মিশে আরও তাড়াতাড়ি ওজন কমায়। পিনাট বাটার ফাইবার ও প্রোটিনে ভরপুর৷ ফাইবার-সমৃদ্ধ খাবার পরিপাক ক্রিয়ার জন্য ভাল। এই মাখন খেলে দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরা থাকে। টুকটাক অস্বাস্থ্যকর খাওয়ার প্রতি ঝোঁক কমে।
২) প্রাতরাশে ওটসের সঙ্গেও পিনাট বাটার খেতে পারেন। যাঁরা ওজন ঝরাতে চাইছেন, তাঁদের জন্য ওটস-দুধ আর পিনাট বাটার খুব ভাল জলখাবার। চাইলে ওটস, কলা আর পিনাট বাটার দিয়ে স্মুদি বানিয়েও খেতে পারেন।
৩) অফিসে বসে কাজের মাঝে প্রায়ই খিদে পায়। তখন ভাজাভুজি, রোল, চাউমিন না খেয়ে ভরসা রাখতে পারেন পিনাট বাটারেই। আপেলের সঙ্গে খান পিনাট বাটার। বিকেলের হালকা খিদের জন্য বেশ স্বাস্থ্যকর এই খাবার, সুস্বাদুও বটে।
৪) হোল গ্রেন পাঁউরুটির সঙ্গে পিনাট বাটার খেতে পারেন।
পিনাট বাটার খাওয়ার সময় কোন কথা মাথায় রেখে চলতে হবে?
১) ওজন ঝরানোর পরিকল্পনা থাকলে যে পিনাট বাটারে নুন থাকে, তা এড়িয়ে চলাই ভাল। বেশি মাত্রায় নুন শরীরে গেলে শরীরে বেশি মাত্রায় জল জমতে থাকে। ফলে ওজন বেড়ে যায়।
২) পিনাট বাটার খেতে দারুণ সুস্বাদু। তাই অনেকেই প্রাতরাশ থেকে শুরু করে বিকেলের জলখাবার, নানা সময়ে এই মাখন খেয়ে থাকেন। ভাবেন, শরীরের মেদ দ্রুত ঝরবে। এই ধারণা কিন্তু একেবারেই ভুল। কোনও কিছুই অতিরিক্ত খাওয়া শরীরের পক্ষে ভাল নয়। দিনে দু-এক চামচের বেশি এই মাখন না খাওয়াই ভাল।
৩) স্বাস্থ্যকর বলে আইসক্রিম বা চকোলেট জাতীয় খাবারের সঙ্গে পিনাট বাটার খাবেন না। খেতে সুস্বাদু হলেও আখেরে শরীরের ক্ষতি করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy