Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Pain Killer Side Effects

মুঠো মুঠো ব্যথা কমানোর ওষুধ খেলে হতে পারে ‘ড্রেস সিন্ড্রোম’, সতর্ক করছে সরকার

যথেচ্ছ পেন কিলার খাওয়ার অভ্যাস যে মোটেও ভাল নয়, সে বিষয়ে বার বার সতর্ক করা হলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে সেই মাত্রায় সচেতনতা আসেনি। তাই এ বার ইন্ডিয়ান ফার্মাকোপিয়া কমিশনের তরফে জারি করা হয়েছে সতর্কতা।

Government issues alert on new found side-effect of painkiller Meftal.

পেন কিলার ব্যবহারে সতর্কতা! ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:৫৯
Share: Save:

ঠান্ডা পড়তে না পড়তেই হাঁটু, কোমরের ব্যথা বাড়ছে। কমবয়সি মেয়েদের ঋতুস্রাবের কষ্টও বাড়ে এই সময়ে। ঠান্ডায় জল খেতে গেলে দাঁতেও অস্বস্তি শুরু হয়। কষ্ট নিরাময়ে ওষুধের দোকান থেকে চেনা ব্যথা কমানোর ওষুধ খেয়ে থাকেন অনেকেই। কিন্তু এই অভ্যাস যে মোটেও ভাল নয়, সে বিষয়ে বার বার সতর্ক করা হলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে সেই মাত্রায় সচেতনতা আসেনি। তাই এ বার ইন্ডিয়ান ফার্মাকোপিয়া কমিশনের তরফে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

যন্ত্রণা ঠেকিয়ে রাখতে ব্যথা কমানোর ওষুধই একমাত্র পরিত্রাতা। সামান্য ব্যথা-যন্ত্রণা কমাতে দু’দিন অন্তর চিকিৎসকের কাছে ছুটে যেতে চান না কেউই। কিন্তু এই সব ওষুধের যথেচ্ছ ব্যবহারে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে শরীরে। বিকল হতে পারে হৃদ্‌যন্ত্রও। প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন ড্রেস সিন্ড্রোমে। যা আসলে এক ধরনের অ্যালার্জি। ব্যথা কমানোর ওষুধে মেফেনমিক অ্যাসিড-সহ বেশ কিছু উপাদান থাকে, যা তৎক্ষণাৎ ব্যথা কমাতে সাহায্য করে ঠিকই, কিন্তু সেই সমস্ত ওষুধ খাওয়ার ৮ থেকে ১০ সপ্তাহ পর শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে থাকে।

ড্রেস সিন্ড্রোম কী?

‘ড্রাগ র‌্যাশ উইথ ইয়োসিনোফিলিয়া অ্যান্ড সিস্টেমিক সিম্পটম্‌স’ বা সংক্ষেপে 'ড্রেস', আসলে অ্যালার্জি জনিত একটি সমস্যা। এই ধরনের ব্যথা কমানোর ওষুধ রক্তের সঙ্গে মিশলে নানা ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ত্বকের উপর লালচে ফুসকুড়ি বা র‌্যাশ দেখা দেয়। শরীরের অভ্যন্তরেও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের উপর প্রভাব পড়তে পারে। বিকল হয়ে যেতে পারে হার্টও।

Government issues alert on new found side-effect of painkiller Meftal.

ব্যথা কমানোর ওষুধ কি একেবারেই খাওয়া যাবে না? ছবি: সংগৃহীত।

তা হলে ব্যথা কমানোর ওষুধ কি একেবারেই খাওয়া যাবে না?

চিকিৎসকেরা বলছেন, মেফেনমিক অ্যাসিড রয়েছে এমন ব্যথা কমানোর ওষুধ আসলে যথেচ্ছ মাত্রায় ব্যবহার করার জন্য নয়। যন্ত্রণার তীব্রতা, রোগীর বয়স এবং উপসর্গ দেখে তবেই ব্যথার ওষুধের ডোজ় নির্ধারণ করা হয়। সাধারণ মানুষের পক্ষে নিজে নিজে তা ঠিক করে ফেলা সম্ভব নয়। কমবয়সি মেয়েদের ঋতুস্রাবজনিত কষ্ট কিংবা বয়স্কদের বাতের ব্যথা নিরাময়ে এই ধরনের ওষুধ খাওয়ার চল রয়েছে। এই প্রবণতা কারও কারও ক্ষেত্রে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। সেই কারণেই সরকারি তরফে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Pain Killer
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE