ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধের আবহে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের সরকার সে দেশের সমস্ত বিমান সংস্থাকে মার্কিন বোয়িং বিমানের বরাত বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে। আর তাতেই অভাবিত সুযোগ এসে গিয়েছে ভারতীয় বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া এবং আকাশ এয়ারের সামনে।
টাটা গোষ্ঠী পরিচালিত বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া বিভিন্ন চিনা কোম্পানির বাতিল করা বরাতের ১০০টি বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স জেট কেনার তৎপরতা শুরু করেছে। পাশাপাশি, ১১টি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিমানও কিনতে চলেছে দুই ভারতীয় বিমান সংস্থা। সাধারণ ভাবে ভারতীয় সংস্থাগুলিকে বরাত দেওয়ার পরে বোয়িংয়ের বিমান পেতে দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা হবে না।
প্রসঙ্গত, শুল্কযুদ্ধের আবহে বরাত বাতিলের পাশাপাশি বোয়িংকে নতুন বিমান সরবরাহের বরাত না দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই প্রেসিডেন্ট জিনপিঙের সরকার নির্দেশ দিয়েছে চিনা বিমান পরিবহণ সংস্থাগুলিকে। বেজিঙের নতুন সিদ্ধান্তে কার্যত চিন থেকে ব্যাবসা গোটাতে হবে মার্কিন বিমান নির্মাতা সংস্থাটিকে। জিনপিং সরকারের এই পদক্ষেপে প্রতিদ্বন্দ্বী এয়ারবাস এবং ‘কমার্শিয়াল এয়ারক্রাফ্ট কর্পোরেশন অফ চায়না’ (কোম্যাক) লাভবান হবে বলে মনে করছেন অনেকেই।
প্রকাশিত একটি খবরে দাবি, চিনের শীর্ষস্থানীয় তিনটি বিমান সংস্থা— এয়ার চায়না, চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স এবং চায়না সাদার্ন এয়ারলাইন্স ২০২৫-২৭ সালের মধ্যে যথাক্রমে ৪৫, ৫৩ এবং ৮১টি বোয়িং বিমানের কেনা চূড়ান্ত করেছিল। কিন্তু তা বাতিল করা হয়েছে পাশাপাশি, বোয়িং নির্মিত বিমানের যন্ত্রাংশ ও অন্যান্য সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রেও চিন নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে জিনপিং সরকার।
- দ্বিতীয় বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রথম মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে প্রথম ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর ভাষণে যেমন উঠে এসেছে আমেরিকার বিভিন্ন বিষয়, তেমনই জায়গা পেয়েছে বিদেশনীতিও।
- পূর্বসূরি জো বাইডেনের সরকারের সমালোচনাও শোনা গিয়েছে ট্রাম্পের কণ্ঠে। তাঁর ভাষণ জুড়ে ছিল কখনও অন্য দেশের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি, আবার কখনও শোনা গিয়েছে ধন্যবাদজ্ঞাপনও। উঠে এসেছে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ প্রসঙ্গও!
-
ভারতের সঙ্গে এখনও হল না চুক্তি! ‘বন্ধু’দের কাছেও শুল্কচিঠি পাঠাতে শুরু করেছেন ট্রাম্প, কোন পথে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা?
-
আমেরিকার সঙ্গে দর কষাকষি করে বাণিজ্যচুক্তি চূড়ান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে, দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা নিয়ে জানাল নয়াদিল্লি
-
ডলারের প্রতিদ্বন্দ্বী চাইছেন না ট্রাম্প, ‘ব্রিক্স’কে চাপে রাখার জন্যই শুল্ক-হুমকি! ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি কোন পথে?
-
তামায় ৫০% শুল্ক আরোপ, ওষুধে কর ২০০% করার ভাবনা ট্রাম্পের! ‘বৃহত্তম বিদেশি বাজার’ চিন্তা বৃদ্ধি করল নয়াদিল্লির
-
‘খেলা হবে’, আবার ‘ব্রিকস্’কে ১০ শতাংশ শুল্কের হুমকি ট্রাম্পের! বাণিজ্যচুক্তি চূড়ান্তের আগে বিপদ বাড়ল ভারতের?