রাতের খাওয়া ঠিক কখন খাওয়া উচিত? প্রতীকী ছবি।
অফিস থেকে ফিরতে সন্ধে পার হয়ে যায়। রাতের খাওয়া খেতে খেতে সেই ১০টা কিংবা ১১টা। নিত্যদিন এমন নিয়মেই চলছেন অনেকে। এখন কথা হল, রাতের খাবার দেরি করে খাওয়ার এই অভ্যাস কি ঠিক?
পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তী জানাচ্ছেন, রাতের খাবার দেরি করে খেলে নানা রকম শারীরিক সমস্যা শুরু হবে। টাইপ ২ ডায়াবিটিস, হৃদ্রোগ, কোলেস্টেরলের মতো শারীরিক অসুস্থতার অন্যতম উৎস হল দেরি করে রাতের খাবার খাওয়া। ১০টা বা ১১টার পরে রাতের খাবার খাওয়ার পরে শুতে গেলে হজমের গন্ডগোল তো শুরু হবেই, অনিদ্রাজনিত সমস্যাও দেখা দেবে। তা ছাড়া মাঝেমাঝেই রেস্তরাঁয় গিয়ে ভূরিভোজের পরিকল্পনা থাকে। এখন অনেকেই অফিস থেকে বাড়ি ফিরে আর রান্না করতে বা খাবার গরম করতে চান না। ফলে বাইরে থেকেই খাবার অর্ডার করে নেন। একেই দেরি করে খাওয়া, তার উপরে বাইরের তেলমশলা দেওয়া খাবার খাওয়ার ফলে শরীর ও মনের ক্লান্তি বাড়তে শুরু করে। সকালে ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে করে না, কাজেও উৎসাহ পাওয়া যায় না।
রাতের খাবার কখন খাওয়া উচিত?
শম্পার পরামর্শ, রাতের খাবার খাওয়ার সময় হল সন্ধে ৬টা থেকে ৮টা। কিন্তু, সন্ধে ৬টার মধ্যে নৈশভোজ সেরে ফেলা অনেকের পক্ষেই সম্ভব নয়। তাই চেষ্টা করতে হবে রাত ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে রাতের খাওয়া যাতে শেষ করা যায়।
ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত ৩ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিতে হবে। কেউ যদি ১১টায় ঘুমোতে যান, তাঁকে ৮টায় খেয়ে নিতে হবে। সেই জন্য দুপুরের খাওয়া সারতে হবে বেলা ১২টার মধ্যে। ওজন কমানোর প্রাথমিক শর্ত কিন্তু বেশি রাত করে খাবার না খাওয়া। তা ছাড়া, রাতের খাবার হতে হবে সবচেয়ে হালকা। বেশি ভারী খাবার রাতে এড়িয়ে যাওয়া ভাল। সূর্যাস্তের আগে হজমশক্তি ভাল থাকে। সে কারণেই ভারী খাবার খেয়ে নিতে বলা হয় সন্ধে নামার আগেই। খাবারের সঙ্গে জল না খেয়ে যদি ঘুমোতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত অল্প অল্প করে জল খেতে থাকেন, তা হলে হজম ভাল হবে। ঘুমও ভাল হবে।
অনুষ্কা শর্মা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যে রাতের খাওয়া সেরে নেন। তাড়াতাড়ি খাবার খাওয়ার কারণেই তিনি ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। বলিউডের বেশির ভাগ তারকাই নৈশভোজ খুব তাড়াতাড়ি সেরে নেন। তাঁদের ছিপছিপে থাকার এটিও কিন্তু একটি কারণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy