প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
অবাঞ্ছিত সন্তানধারণ এড়িয়ে চলার অন্যতম নিরাপদ উপায় গর্ভনিরোধক বড়ি। কিন্তু এই ওষুধ নিয়ে অনেকের মনেই অকারণ ভয় রয়েছে। তাঁর বেশির ভাগই যদিও ভ্রান্ত। কেউ মনে করেন, এগুলি খেলে মোটা হয়ে যাবেন। কেউ মনে করেন, এর ফলে ক্যানসার অনিবার্য। কিন্তু সত্যিই কি তাই? এই ধারণাগুলির সত্যতা কতটা? জেনে নিন।
ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়ে
স্তুন এবং জরায়ুর ক্যানসারের আশঙ্কা সামান্য বাড়তে পারে দীর্ঘ দিন এই ওষুধ খেয়ে গেলে। কিন্তু যাঁরা ট্রাইফেজিক বড়ি খান, তাঁদের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য। আবার পাশাপাশি কিছু কিছু ক্যানসারের আশঙ্কা কমাতেও পারে এই বড়ি।
যৌনরোগের আশঙ্কা কমে
এই ধারণাও সম্পূর্ণ ভুল। একমাত্র কন্ডোম ছাড়া অন্য কোনও উপায়ে যৌনরোগের সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব নয়। যদি আপনি কোনও যৌনরোগে আক্রান্ত হয়ে অন্য কারও সঙ্গে কন্ডোম ব্যবহার না করে সঙ্গমে লিপ্ত হন, তা হলে তাঁর সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
গর্ভপাতের আশঙ্কা বাড়ে
কোনও ভাবেই এই ওষুধ খেলে গর্ভপাত হওয়া সম্ভব নয়। গর্ভনিরোধ বড়ি ডিম্বাণু তৈরির প্রক্রিয়া আটকে দেয়। কিন্তু গর্ভপাত করার জন্য এই বড়ি কার্যকর নয়।
ওজন বেড়ে যায়
অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই ধারণাও সম্পূর্ণ ভুল। গর্ভনিরোধক বড়ি কোনও মতেই ওজন বাড়িয়ে দেয় না। শরীরের বিপাক হার কমার পিছনেও এই ওষুধের কোনও রকম ভূমিকা নেই।
মা হওয়ার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়
মা হতে চাইলে গর্ভনিরোধক বড়ি খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে। তার পরে তিন থেকে চার মাস সময় লাগতে পারে যে কোনও মেয়ের স্বাভাবিক ঋতুচক্রে ফিরতে। শরীরকে মানিয়ে নেওয়ার সময় দিতে হবে। কিন্তু কোনও গবেষণায় এমন প্রমাণ মেলেনি যে মা হওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে যাবে।
একটা বয়সের পর আর প্রয়োজন নেই
এমন ধারণাও সম্পূর্ণ ভুল। যে কোনও মহিলা যাঁর ঋতুবন্ধ হয়নি, তারই মা হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। ঋতুবন্ধের বয়সের কাছাকাছি পৌঁছলে দেখতে হবে টানা ১২ মাস তাঁর ঋতুস্রাব বন্ধ কি না। তবেই ঋতুবন্ধ নিয়ে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy