পহেলগাঁওয়ে পর্যটক হত্যা এবং তার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সংঘাতের আবহে সর্বদল বৈঠক ডাকল নরেন্দ্র মোদী সরকার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে ‘পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করবেন’ বলে নর্থ ব্লকের তরফে জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও থাকবেন বৈঠকে।
সংসদ ভবনে ওই বৈঠক হবে বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে বুধবার জানিয়েছিলেন, পহেলগাঁওকাণ্ড নিয়ে ‘রাজনীতি’ করার পক্ষপাতী নন তাঁরা। বরং দেশের এই বিপদে সরকারের পাশেই রয়েছেন। কংগ্রেসের দাবি ছিল, অবিলম্বে সব তথ্য সংগ্রহ করে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুক কেন্দ্র। তিনি বলেন, ‘‘এখন রাজনৈতিক ঐক্যের সময়। গোটা জাতি যখন শোকস্তব্ধ, তখন কারও ব্যর্থতা চিহ্নিত করার চেষ্টা করা উচিত নয়।’’
মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ে হামলার পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর টেলিফোনে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে জানিয়ে খড়্গে বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের উচিত সর্বদল বৈঠক ডেকে বিষয়টি পর্যালোচনা করা।’’ সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘অমরনাথ যাত্রার আর কিছু দিন মাত্র বাকি। আমরা চাই, কেন্দ্র তার সমস্ত শক্তি ব্যয় করে এলাকায় শান্তি ফেরাক। দোষীদের শাস্তি দিক।” ঘটনাচক্রে, কংগ্রেস সভাপতির ওই বার্তার কয়েক ঘণ্টা পরেই সর্বদল বৈঠকের বার্তা এল কেন্দ্রের তরফে।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, ইউপিএ সরকারের জমানায় ২৬/১১ মুম্বই সন্ত্রাস এবং দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের সময় ‘সুরক্ষা গাফিলতি’র অভিযোগে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সমালোচনায় মুখর হয়েছিল বিজেপি। পহেলগাঁওকাণ্ডে ব্যতিক্রমী নজির রাখলেন কংগ্রেস সভাপতি। যদিও বিজেপির একাংশের মতে, পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লশকর-এ-ত্যায়বার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)-এর ঘাতক বাহিনীর হামলায় মঙ্গলবার দুপুরে অনন্তনাগ জেলার পর্যটনকেন্দ্র পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকার ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যুর পরে মেরুকরণ ও বিদ্বেষের হাওয়া দেখেই ‘ধীরে চলো’ নীতি নিয়েছে কংগ্রেস।