(বাঁ দিকে) অক্ষয় কুমার (ডান দিকে) টুইঙ্কল খন্না। ছবি: সংগৃহীত।
নব্বইয়ের দশকে অভিনেত্রী হিসাবে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন টুইঙ্কল খন্না। কিন্তু তারপর নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছেন অন্য ভাবে। এখন তিনি লেখক, বলিউড তারকা অক্ষয় কুমারের ঘরণী। অভিনেতার সঙ্গে বিয়ে করার পরই অভিনয় থেকে অবসর নেন টুইঙ্কল। পরে লেখালিখি ও নিজের কাজ নিয়ে থাকেন টুইঙ্কল। যদিও টুইঙ্কলের হাস্যরসের কথা বলিউডে সকলেরই জানা। টুইঙ্কলের ‘মিসেস ফানিবোনস্’ শীর্ষক বইটি বেশ জনপ্রিয়তা পায়। এ বার স্বামীকে বিষ খাওয়ার পরামর্শ দিলেন রাজেশ-কন্যা। যদিও নেপথ্যে রয়েছে টুইঙ্কলের ভয়।
১৯৯৯ সালে ‘ইন্টারন্যাশনাল খিলাড়ি’ ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করার পর থেকেই অক্ষয়ের জীবনের লক্ষ্য হয়ে যায় টুইঙ্কলকে বিয়েতে রাজি করানো। কিন্তু টুইঙ্কলকে রাজি করানোই দায়! একটি অনুষ্ঠানে অক্ষয় স্বীকার করেন, টুইঙ্কলকে নিয়ে বাজি ধরেছিলেন অভিনেতা। ২০০০ সালে আমির আর টুইঙ্কল খন্নার ছবি ‘মেলা’-র সাফল্য নিয়ে বাজি ধরেছিলেন অক্ষয়। ওই অনুষ্ঠানে অক্ষয় বলেন, ‘‘টুইঙ্কল ‘মেলা’–র সাফল্য নিয়ে ভীষণ আত্মবিশ্বাসী ছিল। বলেছিল, ছবিটা ওর প্রত্যাশা অনুযায়ী সাফল্য না পেলে বিয়ে করে নেবে।’’ আর হয়েছেও তাই। ২০০১ সালে অক্ষয়ের সঙ্গে বিয়ে করে নেন তিনি। অক্ষয়ের সঙ্গে প্রায় ২৩ বছরের দাম্পত্য জীবন টুইঙ্কলের। এতগুলি বছর পেরিয়ে স্বামীকে বিষ খাওয়ার পরামর্শ দিলেন অভিনেত্রী। তার নেপথ্য কারণ টুইঙ্কলের এক ভাবনা। অভিনেত্রীর ভয় তিনি যদি অক্ষয়ের আগে মরে যান তবে অক্ষয়ের দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারে। এবং অভিনেতার দ্বিতীয় স্ত্রী এসে তাঁর ব্যাগ ব্যবহার করবে। তাই আগেভাগেই টুইঙ্কল নাকি অক্ষয় বলেন, ‘‘আমি যদি আগে মরে যাই তুমি বিষ খেয়ে মরে যাবে। যদি দেখি তোমার দ্বিতীয় স্ত্রী আমার জিনিস ব্যবহার করছেন, তোমাদের দু’জনের পিছনে ছায়া হয়ে পড়ে থাকব, ছাড়ব না।’’ স্ত্রীয়ের এমন কথা শুনে পাল্টা অক্ষয় বলেন, ‘‘আমি এখনই বিষ খেয়ে মরতে চাই। তা হলে এই ধরনের কথা শোনার থেকে মু্ক্তি পাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy