‘মা কালী’ রাইমা সেন। ছবি: সংগৃহীত।
সদ্য মুক্তি পেয়েছে রাইমা সেন ও অভিষেক সিংহ অভিনীত ছবি ‘মা কালী’ ছবির প্রথম ঝলক। ১ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডের ঝলকে পরিচালক বিজয় ইয়ালাকান্তির দাবি, স্বাধীনতার আগে দেশ বিভাগের আগে বাঙালিদের উপর মর্মান্তিক অত্যাচার করা হয়েছিল। বাংলা অনেক নিন্দনীয় ঘটনার সাক্ষী। কিন্তু তার খবর কে রাখে? সেই অপ্রকাশিত ঘটনাগুলির দলিল হয়ে উঠতে চলেছে তাঁর ছবি। যা দেখলে শিহরন জাগবে দর্শকের। ছবির নায়িকা রাইমা। ছবিটিতে অভিনয় করতে গিয়ে তিনিও নানা অজানা কথা জানতে পেরেছেন। ১৯৪৬ থেকে স্বাধীনতা এবং তার পরের দিনগুলোয় বাংলা কী কী বীভৎসতার সম্মুখীন হয়েছিল? রাইমার কাছে প্রশ্ন রেখেছিল আনন্দবাজার অনলাইন।
অভিনেত্রীর দাবি, “এমন অনেক ঘটনা আছে যা কেউ জানে না। আমিও জানতাম না। চিত্রনাট্য পড়তে গিয়ে জেনেছি। এখনই সেটা জানানো সম্ভব নয়। তা হলে গল্প বলে দিতে হবে।” কিন্তু চিত্রনাট্য পড়ার সময়ে কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি। মনে হয়েছে, এই অন্যায় দিনের পর দিন বাংলা এবং বাঙালি সহ্য করেছে। তিনিও একজন বাঙালি। সেই জায়গা থেকে তাঁরও সে সব তুলে ধরা উচিত ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে । এ ভাবেই ঘটে যাওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন তিনি। ১৯৪৬-এর ১৬ অগস্টের সাম্প্রদায়িক হিংসাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ছবিতে ইতিহাসের সেই কালো অধ্যায় জায়গা করে নিয়েছে, যা ‘ডিরেক্ট অ্যাকশন ডে’ বা ‘১৯৪৬ ক্যালকাটা কিলিংস’ নামে পরিচিত। এই খবর প্রকাশের পর থেকেই বাড়ির ল্যান্ডফোনে ক্রমাগত মৃত্যুর হুমকি পেয়েছিলেন অভিনেত্রী। যদিও তিনি তাতে দমে যাননি। পাশাপাশি, ঝলক মুক্তির আগে রাজ্যের বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে ছবিটি দেখিয়েছিলেন পরিচালক বিজয়। সে দিন তাঁর সঙ্গে বসে ছবিটি দেখেছিলেন রাইমা-অভিষেক। মাননীয় রাজ্যপাল ছবিটির প্রশংসা করেছিলেন।
রাইমার দিদা সুচিত্রা সেন বাংলাদেশের মেয়ে। পাবনায় তাঁর জন্ম। কখনও প্রয়াত দিদার মুখে দেশভাগের কথা, দুই বাংলার গল্প বা সেই সময় ঘটে যাওয়া অত্যাচারের কথা শুনেছিলেন? নায়িকা জানিয়েছেন, তাঁর দিদা ছবি, অভিনয়ের পাশাপাশি অন্যান্য অনেক কথা বলতেন। কিন্তু তাঁর কথায় কখনও পূর্ববঙ্গ বা দেশভাগের কথা উঠে আসেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy