মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল ছবি।
সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের ১২ তারিখে শুরু হতে পারে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। দু’সপ্তাহ চলার কথা। সম্প্রতি নবান্ন সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। মনে করা হয়েছিল, তাঁর বাজেট পেশ করার দিন কয়েক পরেই বসতে পারে রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। সেই ভাবেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায়। ৭ ফেব্রুয়ারি অধিবেশন শুরু হতে পারে অনুমান করেই কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু নবান্নে কর্মরত অর্থ দফতরের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, যে হেতু আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই রাজ্য সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট, তাই একটু দেখেশুনে বাজেট পেশ করতে চান মুখ্যমন্ত্রী। তাই কেন্দ্রীয় বাজেটের পর একটু অতিরিক্ত সময় নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও আগামী কয়েক সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রীর বেশ কয়েকটি জেলা সফরও রয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। সেই সফর শেষ করার পর হোক বিধানসভার বাজেট অধিবেশন, এমনটাই চান মুখ্যমন্ত্রী। তাই সে ভাবেই অর্থ দফতর এবং বিধানসভা পারস্পরিক সমন্বয়ের ভিত্তিতে বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু করতে পারে।
রাজ্য প্রশাসনের একাংশের কথায়, এ বারের বাজেটে বেশ কিছু নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ছাড়াও রূপশ্রী, কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতো প্রকল্পগুলিতে অতিরিক্ত সংযোজন হতে পারে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। তাই এ বারের বাজেটে রাজ্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারের বরাদ্দ কেমন থাকছে, সেই বিষয়টি দেখে নিয়েই রাজ্য সরকারের বাজেট পেশ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়াও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতার (ডিএ) বিষয়টিও মাথায় রয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। কারণ, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার অষ্টম পে কমিশন ঘোষণা করার পর কেন্দ্রীয় এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন ও মহার্ঘ ভাতা (ডিএ)-র মধ্যে পার্থক্য উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাতে দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলনরত রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলির ক্ষোভ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। যে হেতু ভোটের কাজে সরকারি কর্মচারীদের বড় ভূমিকা থাকে, তাই এ বারের রাজ্য বাজেটে তাঁদের জন্য অতিরিক্ত কিছু ভাবতেই হবে রাজ্য সরকারকে— এমনটাই মত রাজ্য প্রশাসনের একাংশের।
বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা ৫৩% হারে ডিএ পাচ্ছেন, যেখানে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীরা পাচ্ছেন ১৪% হারে। এই পার্থক্যের ফলে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতনে উল্লেখযোগ্য ফারাকের কথা তুলে ধরছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার এমন মন্তব্যের পর বিশেষ করে রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের পাওনা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে নবান্নকে। এমন সব তথ্য তুলে ধরে রাজ্যের বিভিন্ন রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলি সরব হচ্ছে। তাই এ বারের ভোটে তাদের জন্যও সুরাহা প্রয়োজন বলেই মন করছে রাজ্য প্রশাসনের একাংশ। তাই হাতে একটু বাড়তি সময় নিয়েই ২০২৫-২৬ সালের বাজেট তৈরি করছে অর্থ দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy