জয়জিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।
দক্ষিণ কলকাতার রেস্তরাঁ। বৃষ্টির বিকেল। সাংবাদিকরা হাজির বহুক্ষণ। নিমন্ত্রণের কারণ, জয়জিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোল রিভার্স। ভূমিকা বদল। এই প্রথম তিনি ক্যামেরার উল্টো দিকে। অর্থাত্, অভিনেতা জয়জিত্ এ বার পরিচালক। প্রথম শর্ট ফিল্ম ‘দ্য পোয়েটিক জাস্টিস’-এর শুটিং। কিছুটা অগোছালো হয়তো, তবে তাতে আন্তরিকতার কোনও অভাব নেই।
‘‘আমি ভীষণ সরি। এতক্ষণ বসতে হল…,’’ এসেই এ কথা বললেন নতুন পরিচালক। সঙ্গে তাঁর টিম। এই ছবিতে অভিনয় করছেন সাহেব ভট্টাচার্য এবং ঋদ্ধিমা ঘোষ। একদিনের গল্প। একদিনেই শুটিং শেষ করেছেন জয়জিত্। ছবির মিউজিকের দায়িত্বে রয়েছেন দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায়।
ছবির নায়িকা ঋদ্ধিমার কথায়: ‘‘জয়জিত্দার সঙ্গে আমার অনেক দিনের অ্যাসোসিয়েশন। অলমোস্ট লাইক আ ফ্যামিলি। তাই জয়জিত্দার অফারে না বলার কোনও কারণ নেই।’’ নায়ক, অর্থাত্ সাহেব শেয়ার করলেন, ‘‘জয়জিত্দার পাশে আমাকে থাকতেই হবে। খুব মজা করে কাজ করছি আমরা। অনেকদিন পর ঋদ্ধিমার সঙ্গে কাজ করছি।’’
আরও পড়ুন, ‘ডার্ক ওয়েব’-এর ফাঁদে সাহেব-সম্পূর্ণা?
দ্রুত একের পর এক মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলছেন ক্যাপ্টেন, অর্থাত্ পরিচালক জয়জিত্। ফের শুরু করতে হবে শুটিং। তার মাঝেই বললেন, ‘‘এই ছবিতে সোশ্যাল মেসেজ রয়েছে। সেটা লোককে হন্ট করবে। আমরা ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের জন্য তৈরি করছি। তবে ওয়েবে দেখালে এটা ভাইরাল হবে। মানুষ দেখবেনই।’’ কিন্তু অভিনয় ছেড়ে হঠাত্ পরিচালনায় কেন? জয়জিত্ হেসে বললেন, ‘‘আমার পরিচালনা করতে ভাল লাগছে। শর্ট ফিল্ম দিয়ে হাত পাকাচ্ছি। এটা বহুদিনের স্বপ্ন। তবে মেগা আমার কাছ থেকে কেউ নিতে পারবে না। কোনও চান্স নেই। মেগা না করলে খাব কী? সাংসার চালাতে হবে তো। একটা সময় তো ১০টা মেগা একসঙ্গে করতাম। তাই বন্ধুরা বলত মেগাজিত্। ফলে অভিনয়টা চলবেই। আরও ভাল গল্প মাথায় আছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy