এই লুকেই দেখা যাবে গার্গীকে।
সেই মেয়েকে আপনি চেনেন? চোখে চোখ রেখে যে আপনার কথাই বলে। জীবন খুঁজে নিয়ে জীবনে বাঁচে। আর নদীর মতো বয়ে চলে মনের গভীরে।
সেই মেয়ে ‘রঙ্গিনী’। সেই মেয়ে অভিনেত্রী গার্গী রায়চৌধুরী। আসলে সেই মেয়ে আপনি বা আমি, আমরা প্রত্যেকে।
‘রঙ্গিনী’-কে নিয়ে ২৭ মে, রবিবার প্রথম জি ডি বিড়লা সভাঘরের মঞ্চে আসছেন গার্গী। এই প্রথম তাঁর মোনোলগে অভিনয়। অভিনেত্রী বললেন, ‘‘অভিনয়ের প্রায় প্রত্যেক পর্বে কাজ করেছি। মোনোলগ করব অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল। অবশেষে স্বপ্ন সত্যি হল। এই প্রজেক্টটা আমি আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যেতে চাই।’’
‘রঙ্গিনী’র কনসেপ্ট গার্গীরই। লেখা এবং নির্দেশনার দায়িত্ব উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের। মিউজিক সামলেছেন দেবজ্যোতি মিশ্র। সুদর্শন চক্রবর্তীর কোরিওগ্রাফি এবং দেব-নীলের কস্টিউমে মঞ্চে ধরা দেবেন গার্গী। আর গোটা প্রজেক্টে চিফ অ্যাডভাইজার হিসেবে রয়েছেন ব্রাত্য বসু।
আরও পড়ুন, ‘মন এবং শরীর থেকে মেদ সরানোর চেষ্টা করেছি’
তবে ব্রাত্য নিজে তা মানতে নারাজ। তাঁর কথায়, ‘‘আমার ভূমিকা নৈবেদ্যের উপর গুঁজিয়ার মতো। উজ্জ্বল পরিচালনা করেছে। গার্গী খুব শক্তিশালী অভিনেত্রী। দেখুন, একক থিয়েটার ইউরোপে অনেক আগে এসেছিল। আমাদের এখানে তৃপ্তি মিত্র শুরু করেন। উওম্যান এমপাওয়ারমেন্টের প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে সাহিত্য এবং থিয়েটার বড় বিষয়। এটা থিয়েটারের নতুন নিরীক্ষা হিসেবে দেখতে হবে।’’
মহড়ায় গার্গী।
গার্গী বলছিলেন, এই থিয়েটারে গান ব্যবহার করা হয়েছে সংলাপের মতো করে। সেই সুরেই সুর মিলিয়ে দেবজ্যোতি বললেন, ‘‘আমি বলতে পারি, এটা বেস্ট ইন কলকাতা ইন বেঙ্গলি ল্যাঙ্গুয়েজ। বিদেশে এমন প্রচুর থিয়েটার দেখেছি। যেটা আমাকে হেল্প করেছে। স্টোরিলাইনটা খুব ভাল। একটি মেয়ের যাত্রা। একটা বড় সময়কে আমরা দেখতে পাব। গওহরজান, বিনোদিনী রয়েছে এই যাত্রায়। কিছু চেনা গান রয়েছে। নতুন কিছু মিউজিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট ব্যবহার করেছি। সব মিলিয়ে নতুন মিউজিক করতে পেরেছি বলে আমার ধারণা।’’
আরও পড়ুন, ‘রেনবো জেলি দেখে হয়তো ভাববেন আমি আবার জিততে পারি’
গার্গী এই উদ্যোগে পাশে পেয়েছেন ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশনের ফিরদৌসুল হাসানকে। আগামী ১৫ জুন জি ডি বিড়লাতেই দ্বিতীয় অভিনয়। তারপর আগামী এক বছর ধরে দুবাই, লন্ডন, আমেরিকাতে ইতিমধ্যেই শোয়ের ডেট ঠিক হয়ে গিয়েছে টিম ‘রঙ্গিনী’র।
কিন্তু ‘রঙ্গিনী’ আসলে কে? গার্গী ব্যখ্যা করলেন, ‘‘রঙ্গিনী কখনও টিনের তলোয়ারের ময়না। কখনও রক্তকরবীর নন্দিনী। মা, অসুর আর সন্তান— এটাই ‘রঙ্গিনী’-র ছবি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy