শশাঙ্ক
বাণিজ্যিক ছবি মানেই চাট্টি নাচ-গান আর অ্যাকশন নয়, সেখানেও বুদ্ধিমত্তার ছাপ থাকতে পারে। সহজ-সরল গল্পের মধ্যে জরুরি বার্তাও থাকতে পারে। নতুন প্রজন্মের পরিচালকদের হাত ধরে বলিউডে বাণিজ্যিক ছবির সংজ্ঞা বদলাচ্ছে। ‘হাম্পটি শর্মা কী দুলহনিয়া’ বা ‘বদ্রীনাথ কী দুলহনিয়া’র পরিচালক শশাঙ্ক খৈতান তাঁদেরই এক জন।
‘‘এই বদলটা খুব দরকার ছিল। ভাল কনটেন্ট না হলে দর্শক সে ছবি বাতিল করে দেবেন। আর বাণিজ্যিক মোড়কেই বিশ্বাসযোগ্য ভাবে গল্পটা বলতে হবে,’’ বক্তব্য শশাঙ্কের। রিয়্যালিটি শো ‘ডান্স দিওয়ানে’র বিচারক হয়েছেন শশাঙ্ক। কিছু দিন পরেই তাঁর ছবি ‘ধড়ক’ মুক্তি পাবে। এত চাপের মাঝে বিচারক হওয়ার ঝক্কি নিলেন কেন? ‘‘ডান্স রিয়্যালিটি শোয়ের বিচারক হলে অন্য রকম অভিজ্ঞতা হবে বলে রাজি হয়ে গেলাম। খুব উপভোগ করছি কাজটা,’’ বলছিলেন শশাঙ্ক।
এত দিন মৌলিক গল্প নিয়ে কাজ করেছেন। হঠাৎ মরাঠি ছবি ‘সাইরাট’-এর রিমেক করতে গেলেন কেন? শশাঙ্কের কথায়, ‘‘আমি কিন্তু রিমেক করছি না। ‘সাইরাট’-এর নির্যাসটুকু নিয়েছি। তার পর নিজের মতো করে গল্প বলেছি। গল্পটা আসলে এতটাই রোম্যান্টিক যে, নিজে বলার লোভ সামলাতে পারলাম না।’’ এই রোম্যান্টিক সাগায় রয়েছেন ঈশান খট্টর আর জাহ্নবী কপূর। শশাঙ্ক দু’জনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ! তাঁর মতে, বলিউড দুটো নতুন তারকা পাবে। নিজে প্রেমের ছবি করলেও তাঁর কাছে ‘জব উই মেট’ বলিউডের সেরা নিউ এজ রোম্যান্টিক ছবি।
বছর তিনেক বয়সে শহর ছাড়লেও কলকাতার সব কিছুই শশাঙ্কের চেনা। তাঁর দুই দাদু-দিদার বাড়ি এখানে। সুতরাং সল্টলেক থেকে বালিগঞ্জ লেক সর্বত্রই শশাঙ্কের অবাধ যাতায়াত। যে কারণে ‘ধড়ক’-এর একটি অংশের শুটিংও তিনি এই শহরেই করেছিলেন। ‘‘আমি বছরে এক-দু’বার আপনাদের শহরে চলেই আসি। প্রিয়া আর মেনকায় কত ছবি দেখেছি! কোথায় কোন খাবার ভাল পাওয়া যায় সব জানি (হাসি)। তাই ‘ধড়ক’-এ সুযোগটা পেয়ে কাজে লাগালাম,’’ উচ্ছ্বসিত গলায় বলছিলেন শশাঙ্ক।
বরুণ ধওয়ন কি আপনার সবচেয়ে পছন্দের অভিনেতা? ‘‘দুটো ছবি করেছি বলে বলছেন তো? আসলে ও আমার খুব ভাল বন্ধু। কেরিয়ারও প্রায় একসঙ্গেই শুরু করেছি।’’ বরুণ তাঁর ওয়ারিয়র ফিল্ম ‘রণভূমি’তেও রয়েছেন। অনেকটা ‘বাহুবলী’ জঁরের ছবি এটা।
লার্জার দ্যান লাইফ ছবি করলেও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম যে সিনেমাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে, তা মেনে নিচ্ছেন শশাঙ্ক। বলছিলেন, ‘‘চ্যালেঞ্জটা কিন্তু ভাল অর্থেই। আরও নতুন ধরনের বিষয় উঠে আসছে।’’ ওয়েব সিরিজ় ‘নার্কোস’-এর ভক্ত তিনি। ইচ্ছে রয়েছে, এই মাধ্যমেও কাজ করার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy