রাধিকা
প্র: বিশাল ভরদ্বাজের হিরোইন হওয়া তো বিশাল ব্যাপার!
উ: অডিশন প্রসেস খুব লম্বা ছিল। যখন অডিশনে ডাক পেলাম, অন্য ছবির শুটিং করছিলাম। প্রথম অডিশনের পর আমাকে বলা হয় অপেক্ষা করতে। এর মধ্যে ‘মর্দ কো দর্দ নেহি হোতা’র শুট শেষ করে গোয়ায় পার্টি করতে গিয়েছি। সেই সময়ে বিশাল স্যরের অফিস থেকে কল আসে আর আমাকে বলা হয় অফিসে এসে দেখা করতে। চারটে সিন রেডি করে আসতে বলা হয়। ব্যাস, পার্টি উঠল মাথায়! নেক্সট ফ্লাইটে মুম্বই চলে এলাম। ফ্লাইট দেরি হওয়ায় গোয়া এয়ারপোর্টে আমি সিন রিহার্স করছিলাম। এটা আলাদা কথা যে, ওখানে সবাই আমাকে পাগল ভাবছিল আর আমার ভিডিয়ো করছিল!
প্র: ছবির জন্য চেহারা পাল্টাতে আপত্তি ছিল না?
উ: ছবিতে সই করার পরেই বিশাল স্যর জিজ্ঞাসা করেছিলেন, গায়ের রং কালো করতে রাজি হব কি না। আর আমরা রোদে বসে স্কিন ট্যান করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু লাভ হয়নি। মেকআপ আর কস্টিউমই আমাকে বড়কির রোলের জন্য সাহায্য করেছে।
প্র: টেলিভিশনের ছাপ ফিল্মে এলেই মুছে যায়... কী মত আপনার?
উ: যখন সিরিয়াল করতাম, অনেকে বলত যে, টিভি স্টাররা সহজে ছবিতে ব্রেক পায় না। আমার কিন্তু হিসেবে মিলত না। কারণ চোখের সামনে সুশান্ত সিংহ রাজপুতের উদাহরণ ছিল। আর ব্রেকটা পেয়ে আমারও মনে হল যে, সিনেমায় ট্রাই করা উচিত।
প্র: অডিশন দিয়ে কেউ রিজেক্ট করলে কী ভাবে সামলাতেন?
উ: এক বার খুব দুঃখ হয়েছিল। আমার একটা ড্রিম প্রজেক্ট ছিল, যেখানে আমি অডিশন দিই এবং আমাকে রিজেক্ট করা হয়। আমি একটা বড় ভুলও করেছিলাম। নিজের পারফরম্যান্সের চেয়ে আমি চুলের প্রতি বেশি নজর দিয়েছিলাম। সেই দিন জেনেছিলাম যে, এক জন অভিনেতাকে কোন বিষয়ে বেশি সজাগ থাকতে হয়।
প্র: ‘পটাকা’র শুটিং করে আপনি নাকি সুগৃহিণী হয়ে উঠেছেন?
উ: সে আর বলতে! গোবরে হাত দেওয়া, ঘুঁটে দেওয়া, গরুর দুধ দোয়ানো, ঘর ঝাঁট দেওয়া এবং মোছা, পেঁয়াজ আর টম্যাটো কাটা— যেটা করতে আমার সবচেয়ে বেশি সময় লেগেছিল। আর রুটি করাটা খুব কঠিন ছিল। প্রথম দু’দিন আমার বানানো রুটি কুকুরকে খাওয়ানো হয়েছিল (হাসতে হাসতে)! রুটি গোল বানাতে অনেক সময় লেগেছিল। বাড়িতে আমি একদম পাপা কী পরী! একটা কাজও করতাম না! তা সত্ত্বেও সেটে কোনও দিন মুখে একটা আওয়াজও করিনি। কোনও অভিযোগও করিনি। বিশাল স্যর আমাকে আর সানিয়াকে মেয়ের মতোই ট্রিট করতেন।
প্র: সানিয়ার সঙ্গে মারপিটের দৃশ্য করতে অসুবিধে হয়নি?
উ: সানিয়া ভীষণ ভাল মেয়ে। ওর সঙ্গে কম্পিটিটিভ হওয়া কঠিন। আমাদের দু’জনের দু’জনের প্রতি একটা শ্রদ্ধা ছিল। মারপিটের দৃশ্যে এমন অনেক হয়েছে যে, আমরা একে অপরকে সত্যিই মেরে বসেছি। কিন্তু ক্যামেরা অফ হওয়া মাত্রই একে অপরকে জড়িয়ে ধরে ‘সরি’ বলেছি।
প্র: অবসর সময়ে কী করেন?
উ: চুপ করে বসে থাকার মেয়ে নই। নাচতে খুব ভালবাসি, জ্যাজ় এবং কত্থক প্র্যাকটিস করি। পেন্টিং ভালবাসি। আমার মা পেন্টার ছিলেন। খালি দিমাগ শয়তান কা ঘর তো... চুপ করে বসে থাকি না!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy