এক মাথা কালো চুল। মুখে মোটা গোঁফ। অনিল কপূরকে এই ভাবেই দেখতে অভ্যস্ত দর্শক। অধিকাংশ ছবিতেই এই রূপেই তাঁকে দেখা গিয়েছে। কিন্তু চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে নিজেদের চেহারায় বদল আনতে হয় অভিনেতাদের। একই অভিজ্ঞতা হয়েছে অনিলেরও। এক সময়ে নাকি নায়িকার সামনে নিজেকে দেখে নগ্ন পর্যন্ত মনে হয়েছিল অভিনেতার। নিজের সেই চেহারা নিয়ে মোটেই সন্তুষ্ট ছিলেন না অনিল। বরং অস্বস্তিই ছিল তাঁর।
১৯৯১ সালে ‘লমহে’ ছবিতে শ্রীদেবীর সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন অনিল কপূর। নায়ক একই সঙ্গে মা ও মেয়ের প্রেমে পড়বে, এমনই ছিল এই ছবির গল্প। তবে বক্স অফিসে মোটেই সফল হয়নি এই ছবি। দর্শকের এই গল্প পছন্দ হয়নি বলেই ছবিটি মুখ থুবড়ে পড়েছিল, মনে করা হয় এমনই। তবে অনিল মনে করেন, ছবিতে তাঁর ‘লুক’ও পছন্দ হয়নি দর্শকের। এই ছবির জন্য গোঁফ কামিয়ে ফেলতে হয়েছিল অভিনেতাকে।
আরও পড়ুন:
এই প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে অনিল বলেছিলেন, “‘লমহে’ ছবির সময়ে নিজেকে নগ্ন মনে হয়েছিল। আমাকে দেখে সবাই চমকে গিয়েছিল। সেই প্রতিক্রিয়া কিন্তু মোটেই খুব একটা ইতিবাচক ছিল না। এই দর্শক আমাকে ‘রাম লক্ষ্মণ’, ‘তেজ়াব’-এর মতো ছবিতে পছন্দ করেছিলেন। কিন্তু এই ছবিতে আমাকে দেখে ওঁদের মনে হয়েছিল, ‘আমরা এই ভাবে অনিলকে দেখতে চাই না।’”
‘লমহে’ ছবির গল্প সময়ের তুলনায় আধুনিক ছিল বলে মনে করেন অভিনেতা। কিন্তু নিজের ‘লুক’ নিয়ে মোটেই সন্তুষ্ট ছিলেন না অনিল কপূর। তবে এই ছবির গল্প পরে দর্শকের পছন্দ হবে বলে বিশ্বাস ছিল অভিনেতার। অনিলকে শেষ দেখা গিয়েছে ‘ফাইটার ’ ও ‘সাভি’ ছবিতে।