সুশান্ত সিংহ রাজপুত আত্মঘাতীই হয়েছিলেন। চূড়ান্ত রিপোর্টে জানিয়েছে সিবিআই। সমস্ত অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে সুশান্তের প্রেমিকা অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীকেও। ২০২০ সালে অভিনেতার মৃত্যু নিয়ে জলঘোলা হয়েছিল বিস্তর। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া, মাদকযোগ, এমনকি খুনের অভিযোগও উঠেছিল রিয়ার বিরুদ্ধে। এক মাস সংশোধনাগারেও থাকতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। সেই সময়ে রিয়ার পরিবারের উপর দিয়েও বয়ে গিয়েছে ঝড়। কোন কোন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল রিয়া ও তাঁর স্বজনদের, তা নিয়ে মুখ খুলেছেন রিয়ার বান্ধবী নিধি হিরানন্দানি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিধি দাবি করেছেন, এই ঘটনায় রিয়াকে ‘বলির পাঁঠা’ করা হয়েছিল। রিয়ার পরিবার সুশান্তকে আসলে খুব ভালবাসত। রিয়াদের পরিবারের একজন হয়ে উঠেছিলেন প্রয়াত অভিনেতা। তাই তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় নাকি ভেঙে পড়েছিলেন রিয়ার পরিবার। নিধি বলেছেন, “আমি দেখেছিলাম, ওঁরা কী ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। ওঁদের মানসিক স্বাস্থ্যও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। রিয়া যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছিল তা অকল্পনীয়। আমারই ওদের দেখে অসহায় লাগত।”
রিয়ার পরিবারের সকলেই খুব ভদ্র। এই ঘটনায় তাঁরা খুবই অস্বস্তিতে পড়েছিলেন বলে দাবি করেছেন নিধি। সেই সময়ের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, “ওঁদের বিরুদ্ধে সকলে ঘৃণা উগরে দিচ্ছিল। অন্যেরা সেটা বেশ উপভোগও করছিল। কেউই সত্যিটা জানতে আগ্রহী ছিল না। সকলে নিজেদের ঘৃণা উগরে দেওয়ার জন্য একজনকে খুঁজছিল। রিয়া ছিল সেই বলির পাঁঠাটা।”
আরও পড়ুন:
এই পরিস্থিতিতে রিয়ার মায়ের কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। গলা দিয়ে আওয়াজ বার হত না। মন্দিরে গিয়ে হাতজোড় করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নাকি তিনি দাঁড়িয়ে থাকতেন। নিধি জানিয়েছেন, সেই সময়ে ওঁরা শুধুই নিজেদের নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করতেন।
রিয়ার ভাই শৌভিক চক্রবর্তীও সংশোধানাগারে ছিলেন বেশ কিছু দিন। সেই প্রসঙ্গেও নিধি বলেছেন, “শৌভিকের বয়স সেই সময়ে মাত্র ২৩ বছর। ও খুব ভাল একটি কলেজে সুযোগ পেয়েছিল পরীক্ষা দিয়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই কলেজে আর ও যেতে পারেনি। রিয়ার কর্মজীবন এক মুহূর্তে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ওদের সব কিছু কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। রাতারাতি রিয়া ও শৌভিক অনেকটা বড় হয়ে গিয়েছে ওই ঘটনার পরে।”