এক দল বাবিনের সমর্থনে, অন্য দল ক্ষুব্ধ তার উপর।
পটকার সঙ্গে বাবিনের বিতণ্ডা কার্যত আড়াআড়ি ভাবে ভাগ করে দিয়েছিল ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকের অনুরাগীদের।মুখোপাধ্যায় পরিবারের ‘এভারগ্রিন’ মানুষটার সঙ্গে বাবিনের দুর্ব্যবহার মেনে নিতে না পেরে তার গায়ে ‘দাম্ভিক’, ‘অহংকারি’র মতো একাধিক বিশেষণ সেঁটে দিয়েছিল দর্শকদের একাংশ। আবার ধারাবাহিকের পুটু পিসির (সোহিনী সেনগুপ্ত) মতো আরেক দলের যুক্তি, না বুঝেই রাগের মাথায় পটকাকে অতগুলো কথা শুনিয়েছিল সে। কেউ কেউ আবার, বাবিনের বিজ্ঞান সাধনার গুরুত্ব বুঝিয়ে পটকা এবং তার দলবলকেই কাঠগড়ায় তুলে দিয়েছিলেন। বাবিন বনাম পটকার লড়াইয়ের আঁচ ড্রয়িং রুমের সান্ধ্যকালীন আড্ডা থেকে এসে পড়ে সামাজিক মাধ্যমেও।
দিন কয়েক আগে পটকা অর্থাৎ অম্বরীশ ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, মানুষের এত ভালবাসা পেয়ে তিনি আপ্লুত। কিন্তু স্বয়ং বাবিন ওরফে কৌশিক রায় কী বলছেন?
প্রশ্ন ছুঁড়ে দিতেই হেসে উত্তর, “কে কী খারাপ বলল তা নিয়ে অভিনেতা কৌশিক ভাবে না। সকলে আমার চরিত্র এবং ধারাবাহিকটি নিয়ে এত কথা বলছেন, সেটা জানতে পেরে খুশি।” অম্বরীশের সুর তাঁর গলাতেও। কৌশিকের কথায়, এক পরিবারে থাকতে গেলে ঝগড়া-অশান্তি অনিবার্য। কিন্তু কোনওটাই স্থায়ী নয়। তাই ধীরে ধীরে পটকা এবং বাবিনের মধ্যে তৈরি দূরত্বও এ বার কমছে।
কৌশিক মনে করেন, বাবিনের হাসিখুশি পরিবারেও এ রকম বাক-বিতণ্ডা হতে পারে, এতদিন তা দর্শকদের কল্পনাতীত ছিল। তাই সামান্যতম অশান্তির আঁচেও ‘সোনার সংসার ভেঙে গেল’ জাতীয় রব উঠেছে । তবে সময়ের সঙ্গে মুখোপাধ্যায় পরিবারের এই ক্ষতর দাগটুকুও মিলিয়ে যাবে বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি। ধারাবাহিকের নির্মাতাদের উপর অগাধ আস্থা অভিনেতার। তাঁর কথায়, “লেখকরা যে ভাবে লিখবেন, গল্প দিনের শেষে সে ভাবেই এগোবে। আমার চরিত্রটাও যে এত ভালবাসা পাচ্ছে, তা সম্পূর্ণ লীনাদির (গঙ্গোপাধ্যায়) কৃতিত্ব। আমাকে যা করতে বলা হয়, আমি সেটুকু করি শুধু। সবটাই স্ক্রিপ্টের মাহাত্ম্য।” তাঁর মতে, সৌজন্যের আদর্শ, তার সোজা মেরুদণ্ড, এ সব কিছুই উঠে এসেছে লেখকের কলমে।
তা হলে কি রিল আর রিয়েল কৌশিকের মধ্যে ফারাক বিস্তর?
বাবিনের মতো স্থিরতা কৌশিকের গলায়, “বাবিনের সঙ্গে কৌশিকের অনেক অমিল। কৌশিক বাবিনের মতো অত শিক্ষিত নয়। কৌশিক খুব বেশিদিন একান্নবর্তী পরিবারে বেড়েও ওঠেনি।” এ ভাবে অমিল গুনতে গুনতে নিজেকে আবারও মিলিয়ে দিলেন রিল চরিত্রের সঙ্গে। জানালেন, চেনা মানুষরা অনেক সময় পর্দার চরিত্রের সঙ্গে কিছু মিল খুঁজে পান অভিনেতার।
পরিবার থেকে সরে গুনগুনের সঙ্গে বাবিনের ব্যক্তিগত সমীকরণে আসতেই কিছুটা সাবধানী কৌশিক। বললেন, “ গুনগুনের সঙ্গে আমার চরিত্রটার সম্পর্ক কেমন হবে তা নির্মাতারা ঠিক করবেন। এটা নিয়ে আমি কথা বলার কেউ নই।” তবে কথায় কথায় ঝগড়া করা, মাংস ছাড়া খেতে না পারা মেয়েটার প্রতি বাবিনের স্নেহের কথা অকপটে স্বীকার করলেন অভিনেতা।
স্নেহ তো থাকবেই, কিন্তু প্রেম? এ বার কোনও উত্তর এল না। মৃদু হাসি খেলে কৌশিকের গলায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy