নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোট চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘সাম্প্রদায়িক মন্তব্য’ নিয়ে কংগ্রেস অভিযোগ করায় নির্বাচন কমিশনের তরফে বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডাকে নোটিস দেওয়া হয়েছিল গত মাসেই। কিন্তু এর পরেও প্রধানমন্ত্রী ‘মুসলিমদের’ নাম করে মেরুকরণের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ।
বুধবার মহারাষ্ট্রে নাসিকে বিজেপি সভায় মোদীর অভিযোগ, ‘‘কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকাকালীন কংগ্রেস সরকারি বাজেটের ১৫ শতাংশ মুসলিমদের জন্য বরাদ্দ করতে চেয়েছিল। শিক্ষা এবং সরকারি চাকরিতে মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণ চালু করতে চেয়েছিল।’’ এর পরেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমরা থাকতে এমন করতে দেব না বলে জানিয়ে দিয়েছিলাম।’’
মোদীর দাবি, তিনি যখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখনই কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের তরফে ১৫ শতাংশ বরাদ্দের ওই প্রস্তাব এসেছিল। এর পরেই মহারাষ্ট্রের সন্তান বিআর অম্বেডকরের প্রসঙ্গ তুলে মোদী বলেন, ‘‘ধর্মের ভিত্তিতে বাজেট বরাদ্দ করা এক বিপজ্জনক পদক্ষেপ। সংবিধানের প্রধান স্থপতি বাবাসাহেব অম্বেডকর চাকরি ও শিক্ষাক্ষেত্রে ধর্মভিত্তিক সংরক্ষণের প্রবল বিরোধী ছিলেন।’’
এর আগে লোকসভা ভোটের প্রচারে কংগ্রেস হিন্দুদের সম্পত্তি, পোষা গবাদি পশু, এমনকি মহিলাদের মঙ্গলসূত্র কেড়ে নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে বিলি করে দিতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছেন মোদী। তফসিলি জাতি-জনজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর (ওবিসি) শ্রেণির প্রাপ্য সংরক্ষণের কোটা থেকে মুসলিমদের ভাগ পাইয়ে দিতেও রাহুল গান্ধী এবং তাঁর সহযোগীরা পরিকল্পনা করছেন বলে অভিযোগ শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর গলায়।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে অন্ধ্রপ্রদেশে বিজেপির জোটসঙ্গী তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)-র প্রধান এন চন্দ্রবাবু নায়ডু ঘোষণা করেছেন, সে রাজ্যে ক্ষমতায় এলে (লোকসভা ভোটের সঙ্গেই অন্ধ্রে বিধানসভা ভোটও হচ্ছে) মুসলিমদের জন্য চার শতাংশ সংরক্ষণ করবেন তিনি। কিন্তু সহযোগী দলের নেতার ওই প্রতিশ্রুতি প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি মোদী বা বিজেপির অন্য কোনও নেতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy