রাহুল গান্ধী। — ফাইল চিত্র।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে আবার নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানাল বিজেপি। বুধবার কমিশনের কাছে গিয়ে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের নেতৃত্বে বিজেপি প্রতিনিধিদল অভিযোগ করে, রাহুল লোকসভা ভোটের প্রচারে ভারতীয় সেনার সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি ভেঙেছেন।
সম্প্রতি রাহুল তাঁর লোকসভা কেন্দ্র রায়বরেলীতে ভোটের প্রচারে নরেন্দ্র মোদী সরকারের চুক্তিভিত্তিক ‘অগ্নিবীর’ নিয়োগ কর্মসূচির কড়া নিন্দা করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘মোদী দুই ধরনের সেনা তৈরি করতে চাইছেন। প্রথমটি, দলিত, আদিবাসী, অনগ্রসর, অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল শ্রেণি এবং সংখ্যালঘুদের সন্তানদের নিয়ে। অন্যটি গঠিত হবে সচ্ছল পরিবারের প্রতিনিধিদের নিয়ে।’’
জয়শঙ্কর বুধবার কমিশনের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানানোর পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘‘এটি সর্বৈব মিথ্যা। আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর উপর আক্রমণ। ওরা (কংগ্রেস) এটিকে (‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প) বিতর্কিত বিষয় বানিয়ে সশস্ত্র বাহিনীর মনোবল কমাতে চাইছে। এটি শুধু নির্বাচনের বিষয় নয়, জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন।’’ এর আগে গত মাসে রাহুলের ‘ম্যাচ ফিক্সিং’ মন্তব্য নিয়েও নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিল বিজেপি।
প্রসঙ্গত, সেনায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য ২০২২ সালের জুন মাসে ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। জানিয়েছিলেন, ওই প্রকল্পে সাড়ে ১৭ থেকে ২৩ বছরের তরুণ-তরুণীরা চার বছরের জন্য চুক্তির ভিত্তিতে সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখায় (স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনা) যোগ দিতে পারবেন। তাঁদের বলা হবে ‘অগ্নিবীর’। মাসে ৩০-৪৫ হাজার টাকা করে পাবেন তাঁরা। সেনায় শূন্যপদ ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চতুর্থ বছরের শেষে সেই ব্যাচের সর্বাধিক ২৫ শতাংশ অগ্নিবীরকে সেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বাকিদের ১১-১২ লক্ষ টাকা হাতে দিয়ে পাঠানো হবে অবসরে। থাকবে না কোনও পেনশন। সেনার স্থায়ী নিয়োগের পদ্ধতি বদলে চুক্তিভিত্তিক করার প্রতিবাদে সে সময় দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভে নেমেছিলেন চাকরিপ্রার্থী যুবকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy