(বাঁ দিকে) দিলীপ ঘোষ। কীর্তি আজ়াদ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
এ বার বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনায় বাংলা থেকে দুই অভিযুক্তের গ্রেফতারি নিয়ে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে শুরু হল বিতর্ক। শুক্রবার বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী প্রচারে বেরিয়ে বলেন, ‘‘সবে অ্যাসিড ঢালা হয়েছে। ইঁদুর, পোকামাকড় সব বেরোচ্ছে। ভোটের পর সব বেরিয়ে আসবে।’’ দিলীপের এই মন্তব্যের পাল্টা ভুট্টার সঙ্গে তাঁর তুলনা টানলেন প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজ়াদ।
শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের শুকুর গ্রামের শিবমন্দিরের পুজো দেন দিলীপ। পরে মন্দিরে থাকা প্রবীণ মানুষদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরামর্শের সুরে বলেন, ‘‘গরম পড়ছে। এই সময় শরীর সুস্থ রাখুন। এই সময়ে ঠান্ডা জল খাবেন না। ফ্রিজ়ের জল বাচ্চাদের খেতে দেবেন না। আমের শরবত খান। লেবুর শরবত খান। শরীর ঠান্ডা রাখুন।’’ পর ক্ষণেই তাঁর সংযোজন, ‘‘ভোটের বাজার গরম হচ্ছে। মোদীজিকে আবার এক বার ভোট দিয়ে জয়ী করুন। তিনি যেমন বড় কথা বলেন, তেমনই বড় কাজও করেন। কাশ্মীরে সেতু, অযোধ্যায় রামমন্দির হয়েছে। দেশকে ভ্যাকসিন (করোনার) দিচ্ছেন। চন্দ্রযান যাচ্ছে। চাষিদের টাকা দিচ্ছেন। এমস (হাসপাতাল) হচ্ছে। তাই নরেন্দ্র মোদীকে ভোট দিয়ে বড় মার্জিনে জয়ী করুন।’’ এর পর ভিন্রাজ্যে বিস্ফোরণকাণ্ডে এ রাজ্য থেকে দুই অভিযুক্তের পাকড়াও নিয়ে দিলীপ বলেন, ‘‘পূর্ব মেদিনীপুরে টেররিস্ট ধরা পড়েছে। শাহাজহানের মতো লোক ধরা পড়ছে। গোটা রাজ্যে গুন্ডা, টেররিস্টরা লুকিয়ে আছে।’’ রামাইপুর-২ ব্লকে প্রচারে গিয়ে দিলীপ আবার বেঙ্গালুরুকাণ্ড নিয়ে বলেন, ‘‘ভারতবর্ষের যেখানে বিস্ফোরণ হয়, তার সঙ্গে যোগ থাকে পশ্চিমবঙ্গের।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘অনুপ্রবেশকারীরা এখানে আসে, রোহিঙ্গারা এখানে আসে, আধার কার্ড বানায়, সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এখন তো বাংলাদেশও বলেছে, এখানকার লোকেরা ওখানে গিয়ে উৎপাত করে।’’ তৃণমূলকে নিশানা করে দিলীপের কটাক্ষ, ‘‘বার বার পশ্চিমবঙ্গের দিকে আঙুল উঠবে কেন? বাঙালিদের দেশদ্রোহী করার জন্য কারা চক্রান্ত করছে? এখানকার সরকার কেন দেখে না? এই দুর্বলতার উদাহরণ হল শাহজাহান শেখ। নারী পাচার থেকে গরু পাচার, মাদক পাচার থেকে জাল টাকা পাচার, সরকারি পয়সা লুট করা—সব কাজ করেও তাকে দু’মাস ধরে আড়াল করে সরকার। তার পর সে ধরা পড়েছে।’’
দিলীপের এই মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন বর্ধমান রাজ্য তৃণমূল মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস। তিনি বলেন, ‘‘বাংলায় শান্তি আছে। এখানে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে কিছু মানুষ। তবে বাংলার মানুষ ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থেকে বাংলাকে বাঁচিয়েছেন।’’ তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি দিলীপকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘একটা গরম কড়াইতে যখন ভুট্টার দানা ছাড়া হয়, তখন ফটফট করে আওয়াজ হয়। উনিও ওই ভাবে ফুটছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy