সর্বভারতীয় সিভিল সার্ভিস (ইউপিএসসি) পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে মঙ্গলবার। পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের শক্তি দুবে। তালিকার প্রথম পাঁচ জনের মধ্যে তিন জনই মহিলা। দ্বিতীয় স্থানে হরিয়ানার হর্ষিতা গয়াল এবং তৃতীয় স্থানে পুণের অর্চিত পরাগ। চতুর্থ হয়েছেন গুজরাতের মার্গী চিরাগ শাহ এবং পঞ্চম স্থানে দিল্লির আকাশ গর্গ।
২০১৮ সাল থেকে ইউপিএসসি-র জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন শক্তি। ইলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক করেন তিনি। তার পর বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় (বিএইচইউ) থেকে স্নাতকোত্তর করেন জৈব রসায়নে। এক সাক্ষাৎকারে শক্তি বলেন, ‘‘আমি প্রয়াগরাজে থাকি। সেখানকার স্কুলেই আমার পড়াশোনা। ইলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করেছি। স্নাতকোত্তর বিএইচইউ থেকে। ২০১৮ সালে স্নাতকোত্তর শেষে ইউপিএসসি-র জন্য প্রস্ততি শুরু করি।’’
শক্তি জানিয়েছেন, পরীক্ষায় রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ছিল তাঁর ঐচ্ছিক বিষয়। শক্তি বলেন, ‘‘আমার বাবা পুলিশে চাকরি করেন। তাঁর এই কাজ আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। প্রথমে ভেবেছিলাম এটি সামান্যই একটি চাকরি। কিন্তু যত বড় হয়েছি বুঝেছি, এই কাজের কত দায়িত্ব। বুঝতে শিখেছি সামান্য ক্ষমতা কী ভাবে আমূল পরিবর্তন আনতে পারে। আর বাবাকে দেখেই জনপরিষেবাকেই বেছে নিয়েছিলাম।’’ এই চিন্তাভাবনাকে সম্পূর্ণ ভাবে সমর্থন করেছিলেন তাঁর বাবা-মা।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন হরিয়ানার হর্ষিতা গয়াল। দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি গুজরাতের বরোদায় রয়েছেন। তাঁর পরিবার আদতে হরিয়ানার হলেও পরবর্তী কালে গুজরাতে চলে আসে। অবশ্য হর্ষিতার জন্ম হরিয়ানাতেই। তিনি চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্সি (সিএ) নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। তিনি থ্যালাসেমিয়া এবং ক্যানসার আক্রান্ত শিশুদের জন্যও কাজ করেন।
তৃতীয় স্থানে পুণের অর্চিত পরাগ ডোংরে। ভেলোর থেকে ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি টেক করেছেন। চতুর্থ স্থানে গুজরাতের মার্গী চিরাগ শাহ। গুজরাত টেকনোলিজিক্যাল ইউনিভর্সিটি থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক। পঞ্চম স্থানে রয়েছেন দিল্লির আকাশ গর্গ। কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক তিনি।