রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় প্রথম কিংশুক পাত্র। নিজস্ব চিত্র।
রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় নজর কাড়লেন বাঁকুড়ার কিংশুক পাত্র। মোট ১ লক্ষ ১৩ হাজার ৪৯২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে তাঁর নাম রয়েছে প্রথমে। তবে সুযোগ পেলে আইআইটিতেই পড়তে চান তিনি।
ছোট থেকেই পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত থাকেন কিংশুক। আর থাকবেন না-ই বা কেন! কিংশুকের পরিবার তাঁর বাবা-মা এবং দিদিকে নিয়ে। সেখানে বাবা-মা দুজনেই পেশায় শিক্ষক, এবং দিদি পড়ছেন চিকিৎসাবিদ্যা নিয়ে। সেই পরিবারে আরও একটি পালক যুক্ত করলেন কিংশুক।
আইআইটিতে পড়াশোনা করে রাজ্যের বাইরে চাকরি করতে চান তিনি। বাঁকুড়া জেলার ইন্দ্রপ্রস্থ এলাকায় থাকেন কিংশুক। পড়াশোনার মধ্যে অঙ্ক সবচেয়ে পছন্দের। বিজ্ঞান ভিত্তিক বিষয় নিয়েই বেশি পড়াশোনা করতে পছন্দ করেন। কিংশুকের বাবা নির্মলেন্দু পাত্র আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, তাঁরা আশা করেছিলেন ছেলে ফল ভাল হবে। তবে, প্রথম হবেন এমন প্রত্যাশা ছিল না। পড়াশোনার বাইরেও খেলাধুলা করতে ভালবাসলেও সে ভাবে সময় পান না কিংশুক। উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৭৭ নম্বর ছিল তাঁর। মেধাতালিকায় জায়গা হয়নি। তবে, জয়েন্টে শুধু মেধাতালিকাই নয়, একেবারে প্রথম স্থানে নিজের নাম রাখতে পেরেছেন কিংশুক। নিট (ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট)-সহ সর্বভারতীয় স্তরে সব পরীক্ষাই দিয়েছেন তিনি। এখনও পর্যন্ত সে ভাবে কোন দিকে ভবিষ্যৎ গড়বেন ঠিক করেননি। তবে, কিংশুকের বাবা জানিয়েছেন ছেলে জেইই অ্যাডভান্সে সফল হয়ে কোনও আইআইটিতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চান।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর পরীক্ষার্থী হিসারে রেজিস্ট্রার করেছিলেন ১ লক্ষ ৪২ হাজার ৬৯২ জন। পরীক্ষায় বসেছিলেন ১ লক্ষ ১৩ হাজার ৪৯২ জন। তার মধ্যে ৭৯,০২৫ ছাত্র এবং ৩৪,৪৬৭ ছাত্রী। উত্তীর্ণের সংখ্যা ১ লক্ষ ১২ হাজার ৯৬৩। এর মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ৭৮ হাজার ৬২১ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা ৩৪ হাজার ৩৪২ জন। রাজ্য ছাড়াও আন্দামান নিকোবর থেকে ১২ জন, দাদরা নগর হাভেলি থেকে ছ’জন এবং জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৮ জন এবং লাদাখ থেকে দু’জন, মেঘালয় থেকে ২৪, মিজোরাম থেকে তিন জন, গোয়া থেকে সাত জন এবং দমন ও দিউ থেকে পাঁচ জনের নাম পরীক্ষায় রেজিস্ট্রার করা হয়েছিল।
রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা (ডব্লিউবিজেইই)-এ দ্বিতীয় হয়েছেন কল্যাণীর শুভ্রদীপ পাল। তিনি কল্যাণী ইউনিভার্সিটি এক্সপেরিমেন্টাল হাই স্কুলের ছাত্র। তৃতীয় হয়েছেন কল্যাণীর বিশপ মোরো স্কুলের ছাত্র বিবস্বন বিশ্বাস। প্রথম তিনের মেধাতালিকায় কলকাতার নাম না থাকলেও পঞ্চম স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন ময়ুখ চৌধুরী। তিনি সাউথ পয়েন্ট হাইস্কুলের ছাত্র। কিংশুক এবং শুভ্রদীপ দু’জনেই উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ বোর্ডের ছাত্র। এ ছাড়াও সপ্তম হয়েছেন আলিপুরদুয়ারের অভীক দাস, যিনি উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছিলেন। নবম হয়েছেন কলকাতার সৌনক কর। কিংশুক, শুভ্রদীপ, অভীক এবং সৌনক এই চার জনই উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ বোর্ডের। চলতি বছরে দশ জনের মেধাতালিকায় চার জন রয়েছেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে। চার জন সিবিএসই (সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন)-এর চারজন। এবং সিআইএসসি (কাউন্সিল ফর দ্য ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট এগজামিনেশন)-এর তরফে দু’জনের নাম রয়েছে মেধাতালিকায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy