Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

আমাদের শিষ্টাচারের শেষ সীমাতেও এই আক্রমণের স্থান নেই

নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।

নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।

অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৯ ০০:৩৯
Share: Save:

সৌজন্যের সীমা এই ভাবে নষ্ট হবে, আশঙ্কা করা যায়নি আগে। নির্বাচনী মরসুমে একটু গরমাগরম ভাষণ বা একটু তিক্ত আক্রমণ বিরল নয় মোটেই। কিন্তু তা বলে রাজনৈতিক শিষ্টাচারের প্রাথমিক পাঠটা ভুলে যাওয়াকে সমর্থন করা যায় না। যে স্তর থেকে লঙ্ঘিত হল শিষ্টাচার, তা আরও বেশি অপ্রত্যাশিত!

নরেন্দ্র মোদীকে রোজ তিক্ত আক্রমণ করছেন রাহুল গাঁধী, এ কথা ঠিক। প্রত্যাঘাতে শুধু রাহুলকে নয়, সনিয়া গাঁধী-প্রিয়াঙ্কা গাঁধীকেও মোদী তীব্র কটাক্ষে বিঁধছেন, এ কথাও অস্বীকার করার উপায় নেই। এই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ যে সব সময় রাজনৈতিক শিষ্টাচারের প্রামাণ্য কোনও সংবিধান মেনে হচ্ছিল, এমন নয়। অনেক কিছুই আপত্তিকর ভাবে উঠে আসছিল, দু'তরফ থেকেই আসছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও মেনে নেওয়া যাচ্ছিল অনেক কিছুই। আর মানা গেল না, যখন রাজীব গাঁধীও চলে এলেন তীক্ষ্ণ আক্রমণের নিশানায়।

আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং আমাদের শিষ্টাচার প্রয়াত ব্যক্তির সম্পর্কে অসম্মানজনক মন্তব্য এড়িয়ে চলতে শেখায়। রাজীব গাঁধী শুধুমাত্র প্রয়াত নন, তিনি দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর মৃত্যু কোনও সাধারণ মৃত্যু নয়, বলিদানের মৃত্যু। এ হেন এক ব্যক্তিত্বকে 'এক নম্বরের দুর্নীতিগ্রস্ত' আখ্যা দেওয়াটা কোনও প্রেক্ষিত থেকেই শিষ্টাচারের সীমার মধ্যে আসে না।

সম্পাদক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা আপনার ইনবক্সে পেতে চান? সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

আরও পড়ুন: কুকথার জবাব ‘কর্মফল’ আর আলিঙ্গন

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE