Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

আটকে পড়েছি, সাহায্য করুন! দিকে দিকে একই আর্তি

এই লকডাউন পরিস্থিতিতে পাঠকদের থেকে তাঁদের অবস্থার কথা, তাঁদের চারপাশের অবস্থার কথা জানতে চাইছি আমরা। সেই সূত্রেই নানান ধরনের সমস্যা পাঠকরা লিখে জানাচ্ছেন। পাঠাচ্ছেন অন্যান্য খবরাখবরও। সমস্যায় পড়া মানুষদের কথা সরকার, প্রশাসন, এবং অবশ্যই আমাদের সব পাঠকের সামনে তুলে ধরতে আমরা মনোনীত লেখাগুলি প্রকাশ করছি।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২০ ১৭:০৪
Share: Save:

মেয়ে কলকাতায়, আমি দিল্লিতে আটকে, প্লিজ কিছু করুন

আমি দিল্লিতে থাকি। সিঙ্গল মাদার। কিন্তু দিল্লিতে লকডাউনের জন্য মার্চেই শুরুতেই আমার মেয়েকে কলকাতায় রেখে এসেছি। কারণ, দিল্লিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপক আকার নেওয়ায় স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আমার কলকাতায় ফেরার টিকিট কাটা ছিল ২৬ মার্চ। কিন্তু আপনারা জানেন, লকডাউনের জেরে সব টিকিট বাতিল হয়ে যায়। ২৩-২৪ তারিখ ফের টিকিট কাটার চেষ্টা করি। কিন্তু ২২ মার্চ থেকেই দিল্লিতে লকডাউন ঘোষণা হয়েছিল। কোনও গণ পরিবহণ ছিল না। আমি দিল্লি বিমানবন্দরেই পৌঁছতে পারিনি।

এখন আমি দিল্লিতে একা পড়ে আছি। পাথরের মতো। আমার মন পড়ে আছে কলকাতায়। যদি সম্ভব হয়, দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন। আমি যে কোনও মূল্যে কলকাতায় ফিরতে প্রস্তুত।

মালঞ্চ দাস

নয়াদিল্লি

ইমেল: malancha1999@gmail.com

লকডাউনেও পথ কুকুরদের খাওয়ানোয় ছেদ পড়েনি

গড়িয়া পার্ক এলাকার বেশ কয়েকটি পথ কুকরের খাবারের জন্য ভরসা এখন সেন দম্পতি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। বন্ধ দোকানপাট, খাবারের দোকানও। খাঁ খাঁ করছে রাস্তা। জনমানবহীন রাস্তায় পেটে টান পথ কুকুরদেরও। মুশকিল আসান হয়ে এগিয়ে এসেছেন রাজা সেন ও শর্মিষ্ঠা সেন। নিজেদের খাদ্যতালিকায় কিছুটা কাটছাঁট করে সকাল, বিকেল, রাতে প্রায় ১৫টি পথ কুকুরের খাবার জোগান দিয়ে চলেছেন হাসিমুখে। ছেদ পড়েনি একদিনের জন্যেও। খাওয়াচ্ছেনও নিজের হাতে। রাজা সেন বলেন, ‘‘গত কয়েক বছর ধরেই এই পাড়ার পথকুকুরদের খাবার দিয়ে আসছি। লকডাউনের জন্য ভিড় একটু বেশি। তা হোক, কোনও অসুবিধা নেই।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এই দুঃসময়ে আমাদের খাবারের ব্যবস্থা যখন করতে পারছি, তখন এদেরও খাবারের বন্দোবস্ত করাটা খুব কঠিন নয়। আমাদের যাওয়া-আসা, চলা-ফেরার প্রতিদিনকার জীবনে ওরাও তো সঙ্গী।’’

সঞ্জীব বর্মন

৪৪ গড়িয়া পার্ক, কলকাতা

আরও পড়ুন: এখানে সুনসান রাস্তা, দোকান খোলা কিন্তু লোক নেই

গরিবদের এপিএল, বড়লোকদের বিপিএল!

আমি হুগলি জেলার খানাকুল থানার নতিবপুর গ্রামের বাসিন্দা। এপিএল ও বিপিএল কার্ডগুলো এখানকার স্থানীয় নেতাদের ইচ্ছে অনুযায়ী তৈরি হয়েছে। তাই এই বিপদের দিনেও এলাকার বেশিরভাগ গরিব মানুষ রেশন থেকে ঠিক মতো চাল-ডাল পাচ্ছেন না। এখানকার অধিকাংশ অবস্থাসম্পন্ন বাসিন্দাদের বিপিএল কার্ড রয়েছে। উল্টে গরিবদের দেওয়া হয়েছে এপিএল কার্ড।

যদি আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী এপিএল ও বিপিএল করা হয়, তাহলে উপকৃত হব। এ ভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে এই বিপদের দিনে প্রকৃত গরিব মানুষগুলো খাবে কী করে? বিপিএল কার্ড না থাকায় তাঁদের তো রেশন থেকে বেশি দামে চাল-ডাল নিতে হচ্ছে। তাই স্থানীয় নেতাদের দিয়ে এপিএল-বিপিএল কার্ড না করিয়ে যদি আর্থিক অবস্থা খতিয়ে দেখে করা হয়, তা উপকৃত হব।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

আরও পড়ুন: করোনার ধাক্কা কর্মক্ষেত্রে, লকডাউনের জেরে বেকারত্বের হার বাড়ল ২৩ শতাংশ

মুম্বইয়ে আটকে পড়েছি, সাহায্য করুন

আমার বাড়ি নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানার শালিগ্রামের মসজিদপাড়া এলাকা। আমরা ১০ জন মুম্বইয়ের সান্তাক্রুজ এলাকায় আটকে পড়েছি। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন।

পিন্টু মণ্ডল

মোবাইল নম্বর: ৯০৮২৭৫৭৮০৭

স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে এসে ভেলোরে মহাসঙ্কটে, সাহায্য করুন

আমি নদিয়ার দেবগ্রাম থেকে স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ভেলোরে এসেছি। চিকিৎসা শেষ হয়েছে ১৮ মার্চ। ২৩ মার্চ বাড়ি ফেরার জন্য আমাদের বিমানের টিকিট কাটা ছিল। কিন্তু লকডাউন ঘোষণার জেরে টিকিট বাতিল হয়েছে। আমরা খুব বিপদের মধ্যে আছি। আমাদের খাবার দেওয়া হচ্ছে না। কোনও সাহায্যও পাচ্ছি না। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন।

শ্রীদাম দেবনাথ

মোবাইল নম্বর: ৭৩১৮৯৮১৮৮৬

অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy