বহু দিন বাদে খানিকটা হলেও স্বস্তির হাওয়া সহারা গোষ্ঠীর অন্দরে। কারণ তিহাড় চত্বরের সম্মেলন কক্ষে তৈরি বিশেষ জেলে বসেই নিউ ইয়র্ক ও লন্ডনের ৩টি হোটেল বিক্রি মোটামুটি পাকা করে ফেলেছেন বলে দাবি করলেন সুব্রত রায়।
বৃহস্পতিবার সহারা কর্তা সুপ্রিম কোর্টে জানান, সম্পত্তি কিনতে ইচ্ছুক বিদেশি ক্রেতা মিলেছে। সহারার সঙ্গে তাদের নীতিগত চুক্তিও হয়েছে। এমনকী খসড়া চুক্তিপত্রও তৈরি। তবে তাঁর দাবি, গোপনীয়তা রক্ষার খাতিরেই তা সই না-হওয়া পর্যন্ত ক্রেতাদের নাম জানানো যাবে না। কারণ এত বড় লেনদেনে বহু কাজই এখনও বাকি।
পাশাপাশি, একটি বিদেশি ব্যাঙ্ক তাঁর জামিনের জন্য প্রয়োজনীয় ৫,০০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি দিতে রাজি হয়েছে বলেও এ দিন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চকে জানান সুব্রতবাবু। তবে গোপনীয়তা রক্ষার যুক্তিতে ব্যাঙ্কটির নামও বলেননি তিনি। তাঁর দাবি, ভারতের কোনও নথিবদ্ধ বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের সঙ্গে জোট বেঁধে ওই গ্যারান্টি দেবে বিদেশি ব্যাঙ্কটি।
সুব্রতবাবুর দাবি, এ সব শুনে সন্তুষ্ট শীর্ষ আদালত এ দিনই সম্পত্তি বিক্রি সংক্রান্ত কাজকর্ম গুটিয়ে নেওয়ার সময়সীমা ২০ অগস্ট থেকে আরও ১৫টি কাজের দিন বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছে। প্রসঙ্গত, কথা চালানো থেকে বিক্রি পর্যন্ত সব কিছু পুরোপুরি সারতে বুধবারই বাড়তি সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানান সুব্রতবাবু। তা মঞ্জুর হওয়ায় গোটা বিষয়টি এগিয়ে নিয়ে যেতে আরও কিছু দিন তিহাড়ের সম্মেলন কক্ষে থেকে কাজ করার সুযোগ পাবেন তিনি ও তাঁর সঙ্গে বন্দি সংস্থার আরও দুই ডিরেক্টর।
বস্তুত, পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে তিহাড় জেলে বন্দি সুব্রতবাবু পরিস্থিতি বদলাতে মরিয়া। জামিনের ১০ হাজার কোটি টাকা জোগাড়ের জন্য সংস্থার হাতে থাকা বিলাসবহুল হোটেল, নিউ ইয়র্কের দ্য প্লাজা, ড্রিম ডাউনটাউন ও লন্ডনের গ্রসভেনর হাউসকে দাঁড়িপাল্লায় তুলেছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy