—প্রতীকী ছবি।
দীপাবলির ‘মুহূর্ত’ ট্রেডিংয়ে অনেকটা চড়েছিল শেয়ার বাজার। কিন্তু ঠিক তার পরের সেশনেই হু হু করে নামল সেনসেক্স ও নিফটির সূচক। ফলে নভেম্বরের গোড়াতেই স্টকে লগ্নিকারীদের মাথায় হাত। মাসের শুরুতেই মোটা টাকা লোকসানের মুখ দেখতে হল তাঁদের।
সোমবার, ৪ নভেম্বর বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই) খোলার সময়ে ৭৯,৭১৩.১৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছিল সেনসেক্স। দিনশেষে যা ৭৮,৭৮২.২৪ নেমে আসে। অর্থাৎ, এ দিন ৯৪১.৮৮ পয়েন্ট কমেছে বিএসইর সূচক। যা ১.১৮ শতাংশ। বাজার খোলার সময়ে সেনসেক্স যেখানে ছিল, সেটাই এর দিনের সর্বোচ্চ সূচক বলে জানা গিয়েছে।
অন্য দিকে ন্যাশনাল এক্সচেঞ্জের (এনএসসি) লেখচিত্রও ছিল নিম্নমুখী। এই বাজার বন্ধ হলে দেখা যায় নিফটি ২৩,৯৯৫.৩৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এনএসসি খোলার সময়ে সূচক ছিল ২৪,৩১৫.৭৫ পয়েন্ট। অর্থাৎ, ৩০৯ পয়েন্ট কমেছে নিফটি। শতাংশের নিরিখে যা ১.২৭। দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৪,৩১৬.৭৫ পয়েন্টে উঠেছিল নিফটি।
বিএসইতে ছোট ও মাঝারি স্টকের দর যথাক্রমে ১.৩১ এবং ১.৬৫ শতাংশ কমেছে। সব মিলিয়ে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত সংস্থাগুলির লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৪২ লক্ষ কোটি টাকা। যার জেরে এই বাজারের লগ্নিকারীদের ছ’লক্ষ কোটি টাকা হারাতে হয়েছে।
নিফটিতে আবার তেল ও গ্যাস, মিডিয়া, ভোগ্যপণ্য এবং রিয়্যাল এস্টেট সংস্থাগুলির শেয়ারের দাম কমেছে দুই থেকে তিন শতাংশ। আর সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্ক, গাড়ি নির্মাণকারী এবং সংকর ধাতু তৈরির সংস্থার স্টকের দাম এক শতাংশ পড়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ রয়েছে। যার প্রভাব ভারতীয় শেয়ার বাজারের উপরেও পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজারে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই স্টকে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার অনলাইন কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy