—প্রতীকী ছবি।
শেয়ার বাজারে লেগেছে শনির দশা! অক্টোবর থেকে ধীরে ধীরে নিম্নমুখী হয়েছে গ্রাফ। সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে নভেম্বরেও। কিন্তু এই আবহে ব্যতিক্রমী উদাহরণ তৈরি করেছে দেশের সবচেয়ে দামি স্টক। শেষ দু’টি সেশনে যার দাম আরও ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ বছরের অক্টোবরের একেবারে শেষে হঠাৎ করেই খবরের শিরোনামে চলে আসে ‘এলসিড ইনভেস্টমেন্ট’। এক দিনে মাত্র ৩.৫৩ টাকা থেকে এই সংস্থার শেয়ারের দর ২.৩৬ লক্ষ টাকায় পৌঁছে যায়। আর তখনই দেশের সবচেয়ে দামি স্টকের তকমা পায় এলসিড। তার পর স্টক বাজারের সূচক সামগ্রিক ভাবে নামলেও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে এই সংস্থার শেয়ার।
সোমবার, ৪ নভেম্বর এলসিডের স্টকের দাম পাঁচ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ফলে তা আপার সার্কিট স্পর্শ করে। ওই সময়ে এই সংস্থার এক একটি শেয়ারের দাম দাঁড়ায় ২.৭৩ লক্ষ কোটি টাকা। দালাল স্টিটে ইতিমধ্যেই ছোট পুঁজির কোম্পানি হিসেবে এটি রেকর্ড তৈরি করেছে। ২.৩৬ লক্ষ পৌঁছতে এর শেয়ারে ৬৬ লক্ষ ৯২ হাজার ৫৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি দেখা গিয়েছিল।
বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে (বিএসই) এলসিডের পরেই দ্বিতীয় দামি শেয়ারের তালিকায় নাম রয়েছে এমআরএফের। দীর্ঘ দিন ধরে যা প্রথম স্থান ধরে রেখেছিল। এ দিন টায়ার নির্মাণকারী সংস্থাটির স্টকের দর এক শতাংশ নেমে গিয়েছে। ফলে ১.২২ লক্ষ টাকায় এমআরএফের শেয়ারের লেনদেন চলছে।
বিএসইতে হোল্ডিং কোম্পানির মূল্য নির্ধারণের জন্য একটি নিলাম করা হয়েছিল। যার জেরে এলসিডের স্টক অস্বাভাবিক দামি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে ইচ্ছে থাকলেও এই সংস্থার স্টক সাধারণ লগ্নিকারীরা প্রায় কিনতে পারবেন না বললেই চলে। যা শেষ তিনটি সেশনে মোট ২১ শতাংশ বেড়েছে বলে জানা গিয়েছে।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজারে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকিসাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই স্টকে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার অনলাইন কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy