ডেবিট কিংবা ক্রেডিট কার্ডে চিপ না থাকলে, তা আর ব্যবহার করা যাবে না নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই। সেই কারণে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ওই কার্ড সকলের কাছে পৌঁছে দিতে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। অনেকে এই কার্ড ইতিমধ্যেই ব্যবহার করছেন। কারও বাড়িতে তা সবে এসে পৌঁছেছে। বাকিদেরও তা হাতে পাওয়ার কথা এ বছরের মধ্যে।
ব্যাঙ্কগুলির দাবি, ওটিপি-র ধাঁচের তিন সংখ্যার কোডের কারণে এই কার্ডে লেনদেন পুরনো কার্ডের থেকে অনেক বেশি সুরক্ষিত। স্টেট ব্যাঙ্ক আবার জানাচ্ছে, এই কার্ড পেতে আলাদা করে একটি টাকাও গুনতে হবে না গ্রাহককে।
চিপ ছাড়া কার্ড বাতিল করে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকেই এই নতুন কার্ড দেওয়ার কথা বলেছিল শীর্ষ ব্যাঙ্ক। কিন্তু তখন কিছু ব্যাঙ্ক জানায়, এর জন্য তৈরি হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে তাদের। শুধু তা-ই নয়, ব্যাঙ্কগুলির দাবি, নতুন কার্ড চালু করার পথে আগে বড় বাধা ছিল তার খরচও। ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ কার্ডের গড় খরচ যেখানে ১২-১৭ টাকা, সেখানে স্ট্রিপ কার্ডে তা ৪০ থেকে ৬০ টাকা।
এই দুই যুক্তি তুলে ধরে ব্যাঙ্কগুলির দাবি ছিল, চিপযুক্ত কার্ড চালু করা ব্যয় ও সময়সাপেক্ষ। এর পরেই ওই বছরের ২৭ অগস্ট পুরনো কার্ড বন্ধের জন্য ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বরের সময়সীমা দেয় শীর্ষ ব্যাঙ্ক।
হালে চালু হওয়া কিছু ব্যাঙ্ক অবশ্য জানাচ্ছে যে, গোড়া থেকে শীর্ষ ব্যাঙ্কের নিয়ম জানা থাকার কারণে এই চিপযুক্ত কার্ডই দিয়েছে তারা। যেমন, আইডিএফসি ব্যাঙ্কের পূর্বাঞ্চলের অধিকর্তা স্বরজিৎ মণ্ডল বলেন, ‘‘২০১৬ থেকে পরিষেবা চালু করেছি আমরা। তাই প্রথম থেকে দেওয়া হয়েছে চিপযুক্ত কার্ডই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy