ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানি। —ফাইল চিত্র
মার্কিন-চিন শুল্ক যুদ্ধের উত্তাপ কিছুটা স্তিমিত হতেই মাথাচাড়া দিল আমেরিকা-ইরানের কথার লড়াই। এ বার কেন্দ্রে তেল। আমেরিকার নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানির হুঁশিয়ারি, তাঁদের দেশ থেকে অশোধিত তেল রফতানি বন্ধ করার চেষ্টা হলে পারস্য উপসাগরই স্তব্ধ হয়ে যাবে। বিঘ্নিত হবে অন্যান্য দেশের তেল রফতানিও।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জেরে ইরান থেকে অশোধিত তেলের রফতানি বেশ কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে। তাদের থেকে তেল কেনা কমিয়েছে কিছু দেশ। তবে ভারত-সহ আটটি দেশকে ছ’মাসের জন্য ইরানের তেল আমদানির ব্যাপারে ছাড় দিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। সম্প্রতি ফের তারা সে দেশ থেকে তেল কেনা বাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই রৌহানির হুঁশিয়ারি, কোনও ভাবেই তাঁদের দেশ থেকে তেলের রফতানি বন্ধ করতে পারবে না আমেরিকা।
পরমাণু চুক্তি প্রত্যাহার করে ইরানের উপরে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। লক্ষ্য, ধীরে ধীরে ইরানের তেল রফতানি শূন্যে নামিয়ে আনা। কিন্তু টেলিভিশনে এক বক্তৃতায় রৌহানি বলেছেন, ‘‘আমেরিকার জেনে রাখা উচিত, আমরা নিজেদের তেল বিক্রি করছি। ভবিষ্যতেও করব। ওরা আমাদের তেল রফতানি বন্ধ করতে পারবে না।’’ পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, ‘‘এক দিনের জন্যও যদি সেই চেষ্টা তারা করে, তা হলে পারস্য উপসাগর দিয়ে তেলের রফতানিই বন্ধ হয়ে যাবে।’’
এ দিকে, উৎপাদন কমানো নিয়ে আলোচনা করতে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসছে তেল রফতানিকারী দেশগুলির গোষ্ঠী ওপেক। জল্পনা, দিনে ১৩ লক্ষ ব্যারেল উৎপাদন ছাঁটতে চায় তারা। এই সম্ভাবনায় ভর করেই মঙ্গলবারও বিশ্ব বাজারে তেলের দর বেড়েছে। এক সময়ে ২.৫% বেড়ে ব্যারেল প্রতি ব্রেন্ট ক্রুড পৌঁছয় ৬৩.২৪ ডলারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy