আচমকাই পালে হাওয়া শেয়ার সূচকের। এক দিকে, আমেরিকার বিরুদ্ধে তোপ দাগলেও বাণিজ্য যুদ্ধে ইতি চাইছে চিন। অন্য দিকে, শুল্ক-যুদ্ধে অন্তত কিছুটা রাশ টানতে প্রস্তুতির ইঙ্গিত ওয়াশিংটনের তরফে। দু’তরফেই বাণিজ্য-যুদ্ধের বরফ গলানোর ইঙ্গিত পেয়ে সোমবার চাঙ্গা হয়ে ওঠে শেয়ার বাজার।
পড়তি বাজারে ভাল শেয়ার ঘরে তোলার জমি প্রস্তুত হয়েই ছিল। তার উপর বাণিজ্য-যুদ্ধের প্রকোপ কমার আশায় এ দিন এশিয়ার বেশির ভাগ উঠেছে। যার রেশ ধরে রাখে ভারতের সেনসেক্স, নিফ্টিও।
সকালে উঠলেও, রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপড়েন ও ডলারের সাপেক্ষে ইউরোর দর বাড়ায় শেষ পর্যন্ত পড়েছে ইউরোপের বাজার। তবে খোলার পরে উঠেছে মার্কিন মুলুকের শেয়ার সূচকগুলি।
বাণিজ্য-যুদ্ধ থেকে সরে এসে আমেরিকাকে আলোচনার মাধ্যমে রফাসূত্র খোঁজার আর্জি জানিয়েছে চিন। চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনিং বলেন, ‘‘আলোচনার জন্য দরজা সব সময়েই খোলা।’’ চিনের আর্জিতে আমেরিকা সাড়া দেবে বলে কূটনীতিকদেরও আশা। বিশেষজ্ঞদের মতে, দু’তরফের বিবাদের উত্তাপ কমার আশাতেই চাঙ্গা হয়েছে বাজার।
সোমবার সেনসেক্স বেড়েছে ৪৬৯.৮৭ পয়েন্ট। নিফ্টি ১৩২.৬০ পয়েন্ট বেড়ে ফিরেছে ১০ হাজারের ঘরে। সেনসেক্স থেমেছে ৩৩,০৬৬.৪১ অঙ্কে। নিফ্টি ১০,১৩০.৬৫। বাজার চাঙ্গা থাকা ও রফতানিকারী, ব্যাঙ্কের শেয়ার বিক্রির প্রভাবে এ দিন ডলারে টাকার দাম বেড়েছে ১৪ পয়সা। ১ ডলারের দাম দাঁড়ায় ৬৪.৮৭ টাকা।
ইঙ্গিতে উত্থান
• বাণিজ্য-যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার বদলে সন্ধির প্রস্তাব চিনের
• চিনা বাণিজ্য মন্ত্রক মার্কিন চোখরাঙানি ও কর্তৃত্ব বন্ধের পক্ষে সওয়াল করলেও একই সঙ্গে জোর কথায়
• আমেরিকা এই রফার প্রস্তাব মানবে বলে আশা শেয়ার বাজার মহলে
• সকালের দিকে এশিয়া, ইউরোপের বেশির ভাগ বাজার ছিল চাঙ্গা
• পরে রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক ঝামেলায় নামতে থাকে ইউরোপের সূচকগুলি
• খোলার পরে ঊর্ধ্বমুখী মার্কিন বাজারও
• পড়তি বাজারে শেয়ার কেনার জমি তৈরি ছিল। সুযোগ বুঝেই এ দিন মাঠে লগ্নিকারীরা
মূলত বাণিজ্য যুদ্ধ কমার আশায় পড়তি বাজারে শেয়ার কেনার জেরেই এ দিন সূচক বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তার উপরে বৃহস্পতিবার মহাবীর জয়ন্তী উপলক্ষে বাজার বন্ধ থাকবে। তাই আগামী কাল বুধবারই আগাম লেনদেনের সেট্লমেন্ট হবে। যে লগ্নিকারীরা হাতে শেয়ার না-থাকলেও তা বিক্রি করে রেখেছেন, তাঁরা হস্তান্তরের জন্য প্রস্তুত হতে শেয়ার কিনেছেন। তা সূচককে টেনে তোলার রসদ জোগায়।
সম্প্রতি বাজারে প্রায় ১৫% সংশোধন হয়েছে। অনেক ভাল শেয়ারেরও দাম কমেছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতেই লগ্নিকারীরা শেয়ার কিনেছেন বলে বাজার সূত্রের খবর।
ব্যাঙ্ক, আর্থিক সংস্থা ও ধাতু সংস্থার শেয়ারের চাহিদা বেশি ছিল। তবে বিদেশি লগ্নি সংস্থাগুলি শেয়ার বেচেছে ৭৪১ কোটি টাকার। ভারতীয় সংস্থাগুলি কিনেছে ২০১৭ কোটির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy