জয়রাম রমেশ। —ফাইল চিত্র।
বিভিন্ন শিল্প ক্ষেত্রে আদানি গোষ্ঠী-সহ পাঁচ সংস্থার একাধিপত্য তৈরি হওয়াই দেশের নড়বড়ে অর্থনীতি, চড়া বেকারত্ব ও মাত্রাছাড়া মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে যুক্ত বলে কেন্দ্রকে আক্রমণ করল কংগ্রেস। বিরোধী দলটির দাবি, ব্যবসা সম্প্রসারণ কাম্য। কিন্তু সরকারের দায়িত্ব কিছু সংস্থার হাতে যাতে ক্ষমতা কুক্ষিগত না হয় বা একাধিপত্য তৈরি না হয়, সেটা নিশ্চিত করা।
গত বছর জানুয়ারিতে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমেরিকার শেয়ার সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই ক্রমাগত গৌতম আদানির সংস্থা ও কেন্দ্রকে তোপ দাগছে কংগ্রেস। যা আরও তীব্র হয়েছে এ বছর অগস্টে শেয়ার বাজারনিয়ন্ত্রক সেবি-র কর্ণধারের বিরুদ্ধে হিন্ডেনবার্গেরই নতুন রিপোর্ট সামনে আসার পরে। একের পর এক নতুন অভিযোগ সামনে এনে প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তারা।
আর শুক্রবার এক্স-এ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের বক্তব্য, ‘‘সালতামামিটা বুঝুন। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে অম্বুজা সিমেন্টস ও এসিসি কিনে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম সিমেন্ট সংস্থায় পরিণত হয়েছিল মোদানি (মোদী ও আদানি)। ...২০২৩ সালের অগস্টে তারা কেনে সাঙ্ঘভি ইন্ডাস্ট্রিজ়, যে সংস্থার হাতে ছিল একটি স্থানে থাকা সবচেয়ে বড় সিমেন্ট কারখানা। ২০২৪-এর জুনে পেন্না সিমেন্টস কিনে দক্ষিণ ভারতে ব্যবসা ছড়ায় তারা। এ বছরই অক্টোবরে হাতে নেয় ওরিয়েন্ট সিমেন্ট। আদানিদের হাতে আসে ২% বাজার দখল। এ বার তাদের নজর সৌরাষ্ট্র সিমেন্ট, বদরাজ সিমেন্ট, জয়প্রকাশ অ্যাসোসিয়েটসের সিমেন্ট ব্যবসার দিকে।’’
বিরোধী দলের নেতার অভিযোগ, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ডেপুটি গভর্নর বিরল আচার্ষ বলেছিলেন আদানি-সহ পাঁচ সংস্থার হাতে সিমেন্ট-সহ ৪০টি ক্ষেত্রের ব্যবসা কুক্ষিগত হচ্ছে। রমেশ বলেন, ‘‘বেড়ে চলা একাধিপত্যই দেশের নড়বড়ে অর্থনীতি, বেকারত্বের সঙ্কট ও চড়া মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে যুক্ত। ২০১৫ সালে যেখানে মানুষ ১০০ টাকার জিনিস কিনলে ১৮ টাকা মুনাফা হিসেবে সংস্থার ঘরে যেত, সেখানে ২০২১ সালে তা পৌঁছেছে ৩৬ টাকায়।’’ তাঁর দাবি, ‘‘সংস্থাগুলিকে বড় হতেই হবে, ব্যবসাও বাড়াতে হবে। কিন্তু সরকারের দায়িত্ব যে প্রতিযোগিতা যাতে বজায় থাকে, সেটা দেখা। কয়েকটি সংস্থার হাতে ক্ষমতা যাতে না যায় এবং একাধিপত্য যাতে তৈরি না হয় তা নিশ্চিত করা। অধিগ্রহণ যাতে স্বচ্ছ হয় ও রাজনৈতিক যোগাযোগ ব্যবহার করে সুবিধা যাতে নেওয়া না হয়, সেটাও দেখা দরকার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy