পরিদর্শনে গঙ্গোয়ার। মঙ্গলবার।—নিজস্ব চিত্র।
পাটের হস্তশিল্পের সম্ভাবনা প্রচুর। কিন্তু প্রসারে বাধারও অভাব নেই। সংশ্লিষ্ট মহলের অভিযোগ, প্রশিক্ষণের অভাবে যেমন পণ্যের বৈচিত্র্য কম, তেমনই মজবুত নয় বিপণন পরিকাঠামোও। এ বার সেই খামতি দূর করতে উদ্যোগী হচ্ছে কেন্দ্র। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে বিপণন-সহ সমস্ত সুযোগ দিতে ‘কমন ফেসিলিটি সেন্টার’ (সিএফসি) বা সাধারণ পরিষেবা কেন্দ্র গড়বে কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রক।
মঙ্গলবার কলকাতায় কেন্দ্রীয় বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী সন্তোষ কুমার গঙ্গোয়ার এবং মন্ত্রকের সচিব সঞ্জয় কুমার পন্ডা জানান, আপাতত দেশে পাঁচটি এ রকম কেন্দ্র হবে। যার মধ্যে এ রাজ্যেই হবে তিনটি। ফুলিয়া, দেগঙ্গা এবং মগরায়। বাকি দু’টি অসমের বরাপেটা এবং বিহারের কাটিহারে।
ছোট ও মাঝারি শিল্পের জন্য এ রকম সিএফসি বা সাধারণ পরিকাঠামো গড়ার কাজ শুরু হয়েছিল আগেই। একটি সংস্থার পক্ষে যে পরিকঠামো গড়তে বড় অঙ্কের লগ্নি করা চট করে সম্ভব নয়। তাই ওই সব সংস্থাগুলিকে নিয়ে ‘গুচ্ছ ভিত্তিক’ প্রকল্প গড়া হয়।
পাটের হস্তশিল্পের ক্ষেত্রেও সেই পথেই হাঁটতে চাইছে বস্ত্র মন্ত্রক। প্রতিটি সিএফসি গড়তে কেন্দ্র খরচ করবে দু’কোটি টাকা। বস্ত্র সচিব জানান, পুরো ব্যয়ই করবে কেন্দ্র। রাজ্য শুধু জমি দেবে। সিএফসি-র বাড়ি তৈরিতে লাগবে ৫০ লক্ষ। প্রশিক্ষণে ৬০ লক্ষ। তার পরে পণ্য উৎপাদনে সহায়তার জন্য আরও ৫০ লক্ষ। এবং সবশেষে বিপণন ক্ষেত্রে ব্যয় ধরা হয়েছে আরও ৪০ লক্ষ টাকা।
পন্ডার দাবি, আপাতত ১০০০ জন মহিলাকে মাস তিনেকের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডিজাইনের সঙ্গেও মউ স্বাক্ষর করেছে জাতীয় পাট পর্ষদ। হস্তশিল্পের পাশাপাশি পাটের ব্যবহারে বৈচিত্র্য বাড়াতে রেলপথ বা রাস্তা তৈরিতেও তা কাজে লাগানোয় জোর দিচ্ছে বস্ত্র মন্ত্রক।
কাজের সুবিধার জন্য পাট সংক্রান্ত চারটি অফিসকে এক ছাদের নীচে আনছে মন্ত্রক। রাজারহাটে এ জন্য হচ্ছে ন’তলা ভবন। এ দিন সেই ভবনের শিলন্যাসও করেন বস্ত্রমন্ত্রী। মন্ত্রকের কর্তারা জানান, বাড়িটি পরিবেশ বান্ধব। গড়তে খরচ ৭০ কোটি টাকা। যে ৪টি অফিস সেখানে থাকবে সেগুলি হল— জুট কমিশনার, ন্যাশনাল জুট ম্যানুফ্যাকচারার্স কর্পোরেশন, জুট কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া এবং ন্যাশনাল জুট বোর্ড।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy