ফাইল চিত্র।
নথিভুক্ত অথচ ‘ভুয়ো’ সন্দেহ করা হচ্ছে, এমন সংস্থার শেয়ার কিনে থাকলে এ বার তা বিক্রি করার পথ কার্যত বন্ধ। ওই ধরনের ৩৩১টি সংস্থার মধ্যে ১৬২টির শেয়ার লেনদেন আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সেবি। বাকিগুলির ক্ষেত্রেও একই নির্দেশ জারি হতে পারে বলে আশঙ্কা বাজার মহলের। আর, তার জেরে এ দিন দ্রুত পড়েছে সূচক। বিশেষজ্ঞদের অনেকের আশঙ্কা, আরও পড়তে পারে বাজার।
সেবির সন্দেহ, ওই ৩৩১টি সংস্থা হয় ভুয়ো অথবা আয়কর-সহ নানা আইন ভাঙার দায়ে অভিযুক্ত। ফলে সে-সব শেয়ার যাঁরা কিনেছেন, তাঁদের এখন মাথায় হাত। আরও সংস্থার তালিকাও প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে সেবি। কোন কোন সংস্থা সেই তালিকায় থাকবে, তা না-জানার ফলে বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি মূলধনের সংস্থা হলেই শেয়ার কেনা থেকে লগ্নিকারীদের মধ্যে অনেকেই আপাতত হাত গুটিয়ে রাখতে পারেন বলে আশঙ্কা বাজার মহলের, যার বিরূপ প্রভাব কিছু দিন শেয়ার সূচকের উপর পড়তে পারে।
মঙ্গলবার সেনসেক্স পড়েছে ২৫৯.৪৮ পয়েন্ট এবং নিফ্টি ৭৮.৮৫ পয়েন্ট। নিফ্টি থামে ৯৯৭৮.৫৫ অঙ্কে। ৩২,০১৪.১৯ অঙ্কে থিতু হয়ে সেনসেক্স ৩২ হাজারের ঘর ধরে রাখলেও তা দ্রুত ৩১ হাজারে নামতে পারে বলে আশঙ্কা অনেকের।
যে ১৬২টি সংস্থার শেয়ার লেনদেন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সেবি, সেগুলি আগামী মাসের প্রথম সোমবারের আগে কেনা-বেচা করা যাবে না। আপাতত মাসে ওই এক দিন করে ওই সব শেয়ার লেনদেন হবে।
সেবির এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন বাজার বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অনেকে। প্রবীণ বাজার বিশেষজ্ঞ এবং
এনএসই-র পুরনো সদস্য অজিত দে বলেন, ‘‘প্রতারণা থেকে রক্ষা পেতে লগ্নিকারীদের সাহায্য করবে সেবির ওই নির্দেশ। সূচকের পতনের সঙ্গে এর তেমন কোনও যোগ আছে বলে মনে করি না। পতন হচ্ছে দামের সংশোধন হিসাবে।’’ তবে ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন ডিরেক্টর এবং বাজার বিশেষজ্ঞ এস কে কৌশিক বলেন, ‘‘যাঁরা ওই সব শেয়ার কিনেছেন, তাঁদের তা বেচে বেরিয়ে আসার পথ বন্ধ করে দিয়েছে সেবির নির্দেশ।’’ কৌশিকের মতো বিশেষজ্ঞের প্রশ্ন, সংস্থাগুলিকে আগে কেন ধরা গেল না। চিহ্নিত করতে কেন সেনসেক্স ৩২ হাজারে এবং নিফ্টি ১০ হাজারে ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy