রাজ্যে-রাজ্যে ব্যালটের যুদ্ধ জিততে কৃষি ঋণ মকুবের ঢালাও প্রতিশ্রুতি দেওয়া শুরু হয়েছে সেই উত্তরপ্রদেশ থেকে। পঞ্জাব থেকে মধ্যপ্রদেশ— বাদ যায়নি প্রায় কোনও রাজ্যই। এখন শোনা যাচ্ছে, চাষিদের ক্ষোভে খাস হিন্দি বলয়ে তিন রাজ্যে ধাক্কা খাওয়ার পরে তাঁদের জন্যও ঋণ মকুবের কথা ঘোষণা করতে পারে মোদী সরকার। কিন্তু স্টেট ব্যাঙ্কের গবেষণা শাখার রিপোর্টে দাবি, কৃষক সমস্যায় সেটিই হবে সব থেকে ‘খারাপ’ সমাধান।
ব্যাঙ্কিং শিল্পও মনে করে, এতে চাষিদের সমস্যার দীর্ঘ মেয়াদি সমাধান হবে না। উপরন্তু বোঝা বাড়বে ব্যাঙ্কগুলির। বিশেষত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের। ইতিমধ্যেই ঘাড়ে পাহাড়প্রমাণ অনাদায়ি ঋণের বোঝা নিয়ে যারা পর্যুদস্ত। রিপোর্ট অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্য যে পরিমাণ ধার মকুবের কথা বলেছে, তাতে ৭০ হাজার কোটি টাকা মুছতে হবে ব্যাঙ্কের খাতা থেকে। যা ব্যাঙ্কগুলির মাথাব্যথার কারণ।
এর আগে মহারাষ্ট্রে কৃষি ঋণ মাফের সময়ে স্টেট ব্যাঙ্কের তৎকালীন কর্ণধার অরুন্ধতী ভট্টাচার্য বলেছিলেন, এতে কৃষকদের ঋণ শোধের প্রবণতা কমে। ব্যাঙ্কিং বিশেষজ্ঞদের মতেও, সরকার ধার মিটিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নেয় ঠিকই। কিন্তু নষ্ট হয়ে যায় ঋণ শোধের অভ্যেস। অনেক ক্ষেত্রে নতুন করে ধার নিয়ে ফের এক বার ভোটের মুখে তা মকুব হবে বলে আশা করতে শুরু করেন চাষিরা। নাভিশ্বাস ওঠে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy