—প্রতীকী চিত্র।
শুধু চলতি অর্থবর্ষের রাজকোষ ঘাটতির লক্ষ্য কমানোই নয়, বাজেটে পরের অর্থবর্ষের জন্যও তা কমিয়ে ৫.১ শতাংশে বেঁধেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বলেছেন, ২০২৪-২৫ সালে বাজার থেকে ১৪.৩ লক্ষ কোটি টাকা ধার নেবে কেন্দ্র। যা এ বছরের চেয়ে প্রায় ১.৩ লক্ষ কোটি কম। এই লক্ষ্য নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রা বলছে, তা ৫.৩ শতাংশে বাঁধা হবে বলে আশা ছিল। কিন্তু ঘাটতির লক্ষ্য আরও কমানো ‘অবাক করার মতো’। ফিচ রেটিংসের আবার দাবি, আর্থিক শৃঙ্খলা রক্ষার পথে কেন্দ্রের উদ্যোগ প্রশংসা করার মতো ঠিকই। তবে বাজেটের ঘোষণায় আগামী দিনে ভারতের ধার নেওয়ার মূল্যায়নে (ক্রেডিট রেটিং) খুব একটা তফাৎ হবে না। যদিও শুক্রবার অর্থসচিব টি ভি সোমানাথনের দাবি, ঘাটতির লক্ষ্য উচ্চাশার হলেও তা ছোঁয়া অসম্ভব নয়।
কয়েক বছর ধরেই সরকারের সুদের বোঝা চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে অর্থ মন্ত্রকের কাছে। তাদের ধার নিয়ে বার বার সতর্ক করেছে ফিচ, মুডি’জ় ও এসঅ্যান্ডপি-র মতো মূল্যায়ন সংস্থাও। ভারতের ক্রেডিট রেটিং লগ্নিযোগ্যতার সর্বনিম্ন ধাপেই রেখে দেওয়ার পিছনে যা অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছে তারা। এ দিন ফিচের মতে, ‘‘বাজেট মোটের উপরে অনুমানের সঙ্গে মিলেছে। অর্থনীতির যে অবস্থা খতিয়ে দেখে জানুয়ারিতে দৃষ্টিভঙ্গি স্থিতিশীল রেখে ‘BBB-’ রেটিং দেওয়া হয়েছিল, ঘাটতির লক্ষ্য তার চেয়ে বেশি কমানো হলেও তাতে রেটিং-এ তারতম্য হওয়ার কথা নয়।’’ ভারতের ঋণ যে অনেক দেশের তুলনায় বেশি, তা ফের মনে করিয়ে তাদের আরও বক্তব্য, ঘাটতি কমাতে কেন্দ্রের পদক্ষেপে সুবিধা হবে।
তবে মোদী সরকার যে রেটিং সংস্থাগুলির প্রশ্ন নিয়ে বিচলিত নয়, সেটা বৃহস্পতিবারই স্পষ্ট করেছিলেন নির্মলা। বলেছিলেন, ঘাটতি কমানোর লক্ষ্যে হাঁটা শুধু নয়, সরকার যে সেই লক্ষ্য ভেঙে এগোচ্ছে সেটা বোঝা উচিত সংস্থাগুলির। আর এ দিন সচিবের দাবি, এই লক্ষ্য উচ্চাশার হলেও, বাস্তবসম্মত। কর আদায় ১১.৫% বাড়বে ধরা হয়েছে। অন্যান্য খাতেও আয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা। মূলধনী খরচ বৃদ্ধির হার ১১.১%। ভর্তুকি প্রায় স্থির। ফলে রাজকোষ ঘাটতির লক্ষ্য ছোঁয়া অসম্ভব নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy