Income Tax benefits under new slabs from Rs 8 Lakh to Rs 50 Lakh here are details dgtl
Income Tax Benefits in Budget 2025
কত টাকা আয়ে দিতে হবে কত কর? হিসাব করবেন কী ভাবে? কী বলছে নতুন স্ল্যাবের ফর্মুলা?
কেন্দ্রীয় বাজেটে নতুন কর কাঠামোর ক্ষেত্রে আয়করের নয়া স্ল্যাব ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেই নিয়মে কত টাকা আয়ে দিতে হবে কত কর? এই প্রতিবেদনে রইল তার হিসাব।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:২০
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৬
শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি অষ্টম বারের জন্য সংসদে বাজেট পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেখানে আয়কর নিয়ে বড় ঘোষণা করেছেন তিনি। আগামী সপ্তাহে নতুন আয়কর বিল আনবে নরেন্দ্র মোদী সরকার। বাজেট বক্তৃতায় সে কথাও ঘোষণা করেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী।
০২১৬
বর্তমানে আয়করের ক্ষেত্রে দেশে দু’টি কর কাঠামো চালু রয়েছে। একটি হল পুরনো (ওল্ড রেজিম) এবং অপরটি নতুন (নিউ রেজিম)। বাজেটে নতুন কর কাঠামোর নয়া কর স্ল্যাব ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা। আর সেখানেই ছাড়ের কথা ঘোষণা করেছেন তিনি।
০৩১৬
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী সীতারামন বাজেট বক্তৃতায় বলেন, ‘‘নতুন কর কাঠামোয় বার্ষিক ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে দিতে হবে না কোনও কর।’’ এ ছাড়া সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে বছরে ১২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়ে করের পরিমাণ শূন্য বলেও জানিয়েছেন তিনি।
০৪১৬
গত বছর নতুন কর কাঠামোর ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের পরিমাণ বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা। সেই অঙ্ক এ বারের বাজেটে অপরিবর্তিত রেখেছেন তিনি। আগে ৫০ হাজার টাকা স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশান পেতেন করদাতারা।
০৫১৬
নতুন কর কাঠামোর নতুন স্ল্যাব অনুযায়ী, শূন্য থেকে চার লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ে কোনও কর নেবে না সরকার। কিন্তু চার থেকে আট লক্ষ টাকা বার্ষিক আয়ের ক্ষেত্রে করের পরিমাণ পাঁচ শতাংশ ধার্য করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা।
০৬১৬
বর্তমানে আট লক্ষ টাকা বার্ষিক আয়ে ৩০ হাজার টাকা কর দিতে হয়। নতুন স্ল্যাব অনুযায়ী সেই অঙ্ক কমে দাঁড়াবে ২০ হাজার টাকা। অর্থাৎ ১০ হাজার টাকা লাভ করবেন ওই করদাতা। কিন্তু সরকার ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড় দেওয়ায় আরও ২০ হাজার টাকা রিবেট পাবেন তিনি। অর্থাৎ কর বাবদ কোনও টাকা দিতে হবে না তাঁকে।
০৭১৬
নতুন স্ল্যাবে আট থেকে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ১০ শতাংশ কর ধার্য করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী সীতারামন। ১২ থেকে ১৬ লক্ষ টাকা বার্ষিক আয়ের ক্ষেত্রে করের পরিমাণ ১৫ শতাংশ রেখেছেন তিনি।
০৮১৬
নতুন কর ব্যবস্থায় আগের স্ল্যাব অনুযায়ী, বার্ষিক ন’লক্ষ টাকা আয়ে ৪০ হাজার টাকা কর দিতে হত। এ দিনের ঘোষণার পর সেটা কমে দাঁড়াবে ৩০ হাজার টাকা। কিন্তু বার্ষিক ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রিবেট পাওয়ায় ওই করদাতাকেও দিতে হবে না কোনও টাকা। অর্থাৎ করের দিক থেকে তিনি মোট ৪০ হাজার টাকা লাভ করবেন।
০৯১৬
একই ভাবে বছরে ১০, ১১ ও ১২ লক্ষ টাকা আয়ে এত দিন কর দিতে হচ্ছিল ৫০ হাজার, ৬৫ হাজার এবং ৮০ হাজার টাকা। নির্মলার নতুন ঘোষণার পর এই করদাতারা আরও ১০ হাজার, ১৫ হাজার এবং ২০ হাজার টাকা ছাড় পাবেন। বার্ষিক ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রিবেটের নিয়মে এই করদাতারাও দেবেন না কোনও কর।
১০১৬
বার্ষিক ১৬ লক্ষ টাকা আয় হলে এত দিন ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা কর দিতে হচ্ছিল। এ বার অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকা ছাড় পাবেন ওই করদাতা। মোট ১.২ লক্ষ টাকা কর দেবেন তিনি।
১১১৬
১৬ থেকে ২০ লক্ষ টাকা বার্ষিক আয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নতুন স্ল্যাবে ২০ শতাংশ কর ঘোষণা করেছেন। ২০ থেকে ২৪ লক্ষ টাকা আয়ের ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ এবং ২৪ লক্ষের বেশি আয়ের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ রেখেছেন তিনি।
১২১৬
২০ লক্ষ টাকা বার্ষিক আয়ে এত দিন ২.৯ লক্ষ টাকা কর দিতে হচ্ছিল। বাজেটে ঘোষণার পর সেই করদাতা এ বার থেকে আরও ৯০ হাজার টাকা ছাড় পাবেন। অর্থাৎ তাঁর প্রদেয় করের পরিমাণ দাঁড়াবে দু’লক্ষ টাকা।
১৩১৬
এত দিন বছরে ৪.১ লক্ষ টাকা কর দিতেন বার্ষিক ২৪ লক্ষ টাকা আয় করা ব্যক্তিরা। বাজেটে তাঁদের ক্ষেত্রে ১.১ লক্ষ টাকা ছাড় দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা। অর্থাৎ এ বার থেকে তিন লক্ষ টাকা কর দেবেন ওই ব্যক্তি।
১৪১৬
বছরে ৫০ লক্ষ টাকা আয়ের ক্ষেত্রে ১.১ লক্ষ টাকা কর ছাড় দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। নতুন কর কাঠামোর পুরনো স্ল্যাবে ১১.৯ লক্ষ টাকা কর দিতেন তাঁরা। বাজেটের পর তাঁদের প্রদেয় করের পরিমাণ দাঁড়াবে ১০.৮ লক্ষ টাকা।
১৫১৬
এ দিনের বাজেটে পুরনো কর ব্যবস্থা (ওল্ড রেজিম) নিয়ে একটিও শব্দ খরচ করেননি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এই পদ্ধতিতে কর ব্যবস্থা অপরিবর্তিত রেখেছে কেন্দ্র।
১৬১৬
আর্থিক বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, নতুন আয়কর বিলে পুরনো কর কাঠামোকে পুরোপুরি প্রত্যাহার করবে নরেন্দ্র মোদী সরকার। পাশাপাশি, কর ব্যবস্থাকে আরও সরল করার ইঙ্গিত দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।