চাপ: সুরাতে কাপড়ের মিলে রাহুল গাঁধী। যে সুরাত উত্তাল হয়েছিল বস্ত্র ব্যবসায়ীদের জিএসটি-প্রতিবাদে। ছবি: পিটিআই
দরজায় কড়া নাড়ছে গুজরাতের ব্যালট যুদ্ধ। খোদ প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যে গিয়ে নোটবন্দি আর জিএসটি নিয়ে তাঁকে বিঁধছেন রাহুল গাঁধীরা। ক্ষোভ উস্কে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীদের। এই অবস্থায় আজ গুয়াহাটিতে জিএসটি পরিষদের বৈঠক শেষে সম্ভাবনা একগুচ্ছ ঘোষণার। যার মধ্যে থাকতে পারে করের হার কমানো থেকে তা জমার পদ্ধতি আরও সরল করার মতো বিভিন্ন সিদ্ধান্ত।
বিরোধীদের অভিযোগ, মূলত গুজরাতের ভোটবাক্সের দিকে তাকিয়েই এই চেষ্টা করছে কেন্দ্র ও তার নির্দেশে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি। তড়িঘড়ি করদাতা ও ব্যবসায়ীদের একগুচ্ছ সুরাহা দেওয়ার বন্দোবস্ত করতে চাইছে মোদী সরকার।
এক দিকে আমজনতাকে খুশি করতে যে-সব জিনিসের উপরে ২৮% কর চেপেছে, তার সিংহভাগেই তা কমানোর চেষ্টা হচ্ছে। অমিত মিত্রের মতো বিরোধী দলের অর্থমন্ত্রীরা ইতিমধ্যেই সেই দাবি তুলেছেন। নিয়ম বেঁধে দেওয়া হতে পারে যে, সর্বোচ্চ খুচরো মূল্যের (এমআরপি) উপরে জিএসটি বসানো যাবে না।
ব্যবসায়ীদের খুশি করতেও কিছু সুবিধা দেওয়া হতে পারে। ইতিমধ্যেই বছরে দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যবসায় প্রতি মাসে কর জমা, রিটার্ন দাখিলের বদলে তিন মাসে একবার তা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তা আরও বাড়ানো হতে পারে। কম্পোজিশন স্কিম, যেখানে একটি হারে কর মেটালেই চলে, তার সুবিধা এখন ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যবসায় মেলে। সেটাও বাড়তে পারে। ছোট রেস্তোরাঁর জন্যও করের বোঝা ১৮% থেকে কমানোর রাস্তা খোঁজা হচ্ছে।
এখন ২০০টিরও বেশি পণ্যে ২৮% হারে কর চাপে। তার মধ্যে কাপড় কাচার সাবান, শ্যাম্পুর মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসও রয়েছে। বিরোধী দলশাসিত রাজ্যগুলির পাশাপাশি অনেকেরই দাবি, একমাত্র শরীর ও পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকারক পণ্য ছাড়া বাকি সবেই কর ১৮% হোক। কিন্তু অর্থ মন্ত্রকের মুশকিল হল, খুব বেশি পণ্যে কর কমলে রাজস্ব কমবে। সে ক্ষেত্রে রাজ্যগুলিকে রাজস্ব ক্ষতি মেটাতে গিয়ে বাড়বে রাজকোষ ঘাটতি। তাতে মূল্যায়ন সংস্থাগুলির বেঁকে বসার আশঙ্কা। তারা রেটিং ছাঁটলে প্রশ্ন উঠবে মোদী সরকারের আর্থিক নীতি নিয়ে।
শুক্রবার গুয়াহাটিতে জিএসটি পরিষদের বৈঠকে মন্ত্রীরা বসার আগে বৃহস্পতিবার আমলা স্তরের বৈঠক হয়েছে। নোট বাতিল থেকে শুরু করে তড়িঘড়ি জিএসটি চালুর মতো নীতি মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে বলে দাবি করে বৈঠকস্থলের বাইরে প্রতিবাদ জানায় কংগ্রেস। নেতৃত্ব দেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রিপুন বরা প্রমুখ। পুলিশ গগৈ, বরা-সহ নেতা-কর্মীদের আটক করে।
আজ হয়তো...
আমজনতার জন্য
•• যে-সমস্ত পণ্যে কর ২৮%, তার অধিকাংশকেই বার করে আনা হতে পারে ওই হার থেকে। বিশেষত যেগুলি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র
•• সর্বোচ্চ হারে জিএসটি মূলত স্বাস্থ্য, পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকর আর বিলাসবহুল পণ্যের জন্যই
•• সর্বোচ্চ খুচরো দামের (এমআরপি) উপর আর চাপানো যাবে না জিএসটি। বরং তা বলতে হবে আগে কর যোগ করেই লক্ষ্য ব্যবসায়ীরা
•• আরও সরল হতে পারে কর ও রিটার্ন জমার সুবিধা
•• আওতা বাড়তে পারে কম্পোজিশন স্কিমের। এখন তাতে এক কোটি টাকার পর্যন্ত ব্যবসা
•• করের বোঝা কমতে পারে ছোট রেস্তোরাঁর। ১৮% থেকে কমে হতে পারে ১২%
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy