—ফাইল চিত্র।
নীরব -কেলেঙ্কারির মতো ঘটনা যে ঘটতে পারে, বছর দেড়েক ধরে তিন বার সে বিষয়ে সাবধান করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। দুর্নীতির অভিযোগে পিএনবি-সহ বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ন’জন অফিসারকে চিহ্নিত করেছিল কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনও (সিভিসি)। বলেছিল তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। কিন্তু দুই প্রতিষ্ঠানের এই দাবির পরেও প্রশ্ন উঠছে, শীর্ষ ব্যাঙ্ক যদি সমস্যার সম্ভাবনার গন্ধ পেয়েই থাকে, তবে কেন গোড়াতেই তা সমাধানের উপর আরও জোর দিল না তারা? একই ভাবে প্রশ্ন উঠছে দুর্নীতির অভিযোগ থাকা অফিসারের বিরুদ্ধে যে ব্যাঙ্ক ব্যবস্থা নেয় না, তারা আঁটোসাঁটো নজরদারির জন্য পুরস্কার সিভিসি-র কাছ থেকেই পায় কী করে?
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সর্বত্র এ নিয়ে বিস্তর প্রশ্নের মুখে পড়ে সিভিসি অবশ্য জানিয়েছে, যে বিষয়ে ওই সম্মান দেওয়া হয়েছিল, সেটিতে অন্যান্য ব্যাঙ্কের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে ছিল পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি)। তাই তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রশ্ন পিছু ছাড়ছে না সিভিসি-র সিদ্ধান্ত নিয়ে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বলেছিল, ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় সমস্যার কারণ হতে পারে সুইফ্ট কোড। আন্তর্জাতিক ব্যাঙ্কিং লেনদেনে যা প্রয়োজন হয়। টাকা পাঠানোর জন্য তা অন্য দেশের ব্যাঙ্ককে চিহ্নিত করে। ঠিক যে ভাবে ভিন্ দেশের টেলিফোন কলকে পথ চিনিয়ে আনে আইএসডি কোড। পরে দেখা গিয়েছে, নীরব -কেলেঙ্কারিতে বড় ‘ভূমিকা রয়েছে’ এই সুইফ্ট কোডেরই।
এ দিকে পিএনবি-র এই কেলেঙ্কারিতে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ভূমিকা খতিয়ে দেখা উচিত বলে দাবি করেছে ব্যাঙ্কের অফিসারদের সংগঠন এআইবিওএ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy