—প্রতীকী চিত্র।
কেন্দ্রের দাবি, তাদের একগুচ্ছ পদক্ষেপের কারণেই অত্যাবশ্যক জিনিস, বিশেষত খাদ্যপণ্যের দাম কমেছে। তবে উপদেষ্টা সংস্থার সমীক্ষা সাধারণ মানুষকে ততটা নিশ্চিন্ত করতে পারল না। বুধবার যার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২২-এর জানুয়ারিতে একটি নিরামিষ থালি রান্না করতে গৃহস্থের যা খরচ হত, গত মাসে হয়েছে তার থেকে ৫% বেশি। তবে আমিষ থালি তৈরির খরচ কমেছে ১৩%।
খাদ্যপণ্যের দামের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রকাশিত হয় ক্রিসিল মার্কেট ইনটেলিজেন্স অ্যান্ড অ্যানালিটিক্সের ‘রোটি রাইস রেট’ (ভাত-রুটির হার) রিপোর্ট। সেখানেই দাবি, চাল, ডাল, পেঁয়াজ এবং টোম্যাটোর দাম বৃদ্ধিই গত বছরের জানুয়ারির তুলনায় নিরামিষ থালি রান্নার খরচকে ঠেলে তুলেছে এ বার। শুধু পেঁয়াজেরই মূল্যবৃদ্ধি ৩৫%।
এরই মধ্যে ভরসা আমিষ থালি তৈরির খরচ কমা এবং ডিসেম্বরের নিরিখে জানুয়ারিতে খরচ কম পড়া। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এই সময়ে সাধারণত আনাজের যে দাম থাকা উচিত তার থেকে বেশি রয়েছে। ব্যবসায়ীদের সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ ফোরাম অব ট্রেডার্সের সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, “শীতকালে আশা ছিল আনাজের দাম কমবে। কিন্তু তা হয়নি। এখনও ভাল বেগুন ৫০ টাকা কিলো দরে বিকোচ্ছে। পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা। এক কিলো রসুন ৫০০ টাকা ছাড়িয়েছে। ফলে স্বস্তি মেলেনি সাধারণ মানুষের।’’
একই অভিযোগ ফেডারেশন অব ট্রেডার্স অর্গানাইজ়েশন্সের যুগ্ম সম্পাদক তাপস মুখোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, “কেন্দ্রের দাম কমার দাবি অর্থহীন। তা তো আকাশছোঁয়া হয়েছিল। বেগুনের কেজি হয়েছিল ১০০ টাকা। টোম্যাটো উঠেছিল আরও উঁচুতে। তার থেকে এখন হয়তো কিছুটা কমেছে। কিন্তু মরসুমের এই সময়ে যা থাকার কথা তার থেকে অনেক বেশি। একে যদি দাম কমা বলে তা হলে বলার কিছু নেই।’’ তাঁদের দাবি, ভোটের আগে অত্যাবশ্যক পণ্যের দামের ব্যাপারে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে কেন্দ্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy