দার্জিলিঙের ৮৬টি চা বাগানের মধ্যে ষষ্ঠীতে বোনাস পেলেন মাত্র ৮টির শ্রমিকরা। পাহাড়ে টানা বন্ধের জেরে অধিকাংশ বাগানে শ্রমিকদের অনুপস্থিতি, অফিস বন্ধের জন্য হিসেবপত্রের প্রাথমিক কাজ না-হওয়া, গত সপ্তাহে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা কার্যত বন্ধ থাকা ইত্যাদির জেরে পুজোর আগে বোনাস দেওয়ার প্রক্রিয়া শ্লথ হয়েছে, দাবি চা শিল্পের। তবে এখন বন্ধ ওঠায় বিষয়টি গতি পাবে বলেই আশা সংশ্লিষ্ট মহলে।
ছ’দিন আগে শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ৬৬টি বাগানের শ্রমিকরা তাঁদের প্রাপ্য বোনাস পাবেন ১৯.৭৫% হারে। তার অর্ধেক মিলবে বাগান চালুর পরে সাত দিনের মধ্যে।
সোমবার পর্যন্ত কোনও বাগানেই বোনাস দেওয়া সম্ভব হয়নি। দার্জিলিং টি অ্যাসোসিয়েশন (ডিটিএ) ও ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন (আইটিএ) সূত্রের খবর, বালাসন, কাসলটন, গিল, তিস্তা ভ্যালি, অম্বুটিয়া, নারবং, মন্টিভিউট ও সিঙ্গল, এই বাগানগুলির শ্রমিকরা মঙ্গলবার বোনাস পেয়েছেন। ডিটিএ-র সেক্রেটারি জেনারেল কৌশিক বসু এ দিন বলেন, ‘‘আমরা বোনাসের চুক্তি রূপায়ণ করতেই চেষ্টা করছি।’’
চা শিল্পের দাবি, অনেক বাগানেই শ্রমিকরা অনুপস্থিত। ফলে তাঁদের গত বছরের হাজিরা ও মোট পাওনার হিসেব কষার কাজ হয়নি। পাহাড় সচল হলে ও কর্মীরা স্বাভাবিক ভাবে কাজ শুরু করলেই এ ব্যাপারে সুবিধা হবে। তাদের দাবি, বোনাসের টাকা মিটিয়ে দিতে প্রস্তুত চা শিল্প।
শ্রমিকদের অনেকে পুজোর পরে বোনাস নেবেন বলেও জানিয়েছেন। সোমবার থেকে ব্যাঙ্ক, ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হলেও সব বাগান কর্তৃপক্ষ ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলতে পেরেছেন কি না, তা নিশ্চিত নয়। উপরন্তু আজ থেকে পুজোর ছুটিতে ফের ব্যাঙ্ক বন্ধ। আজ ও আগামী কাল খোলা থাকলেও তারপর ৩ দিন বন্ধ বাগানও। ফলে পুজোর মধ্যে কতগুলি বাগানে বোনাস দেওয়া যাবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy