Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
বাড়তি জোর ই-কমার্সে

রফতানিতে উৎসাহ ৫ বছরের বৈদেশিক বাণিজ্য নীতিতে

আগামী ২০২০ সালের মধ্যে রফতানি দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে পাঁচ বছরের বৈদেশিক বাণিজ্য নীতি ঘোষণা করল কেন্দ্র। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বুধবার মোদী সরকারের এই প্রথম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতি পেশ করে বৈদ্যুতিন বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলিকে বাড়তি উৎসাহ দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন। ক্রমেই বাড়তে থাকা বৈদ্যুতিন বাণিজ্য বা ই-কমার্স-এর পরিপ্রেক্ষিতে এটি একটি বড় পদক্ষেপ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট শিল্পমহলও।

নীতি প্রকাশে সীতারামন। ছবি: পিটিআই

নীতি প্রকাশে সীতারামন। ছবি: পিটিআই

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৫ ০২:১৪
Share: Save:

আগামী ২০২০ সালের মধ্যে রফতানি দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে পাঁচ বছরের বৈদেশিক বাণিজ্য নীতি ঘোষণা করল কেন্দ্র। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বুধবার মোদী সরকারের এই প্রথম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতি পেশ করে বৈদ্যুতিন বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলিকে বাড়তি উৎসাহ দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন।

ক্রমেই বাড়তে থাকা বৈদ্যুতিন বাণিজ্য বা ই-কমার্স-এর পরিপ্রেক্ষিতে এটি একটি বড় পদক্ষেপ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট শিল্পমহলও। বৈদ্যুতিন বাণিজ্যে জোর দেওয়া হয়েছে সেই সব শিল্পের রফতানির প্রসারে, যেগুলি বাড়তি কর্মসংস্থান তৈরি করে। সীতারামন বলেন, ‘‘আগামী বছরগুলিতে বিশ্ব বাণিজ্যে ভারতকে দিশা দেখাবে এই নীতি, যাতে ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্ব বাজারে নিজের উপস্থিতি বাড়াতে পারে ভারত।’’

এ দিনের বাণিজ্য নীতিতে যে-সব বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে—

• আগামী পাঁচ বছরে, অর্থাৎ ২০১৯-’২০ সালের মধ্যে রফতানি দ্বিগুণ বাড়িয়ে ৯০ হাজার কোটি ডলারে (৫৫ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা) নিয়ে যাওয়া। ২০১৩-’১৪ অর্থবর্ষে তা হয়েছে ৪৬ হাজার ৬০০ কোটি ডলার।

• রফতানি বাড়াতে বিভিন্ন রাজ্যকে সামিল করা।

• প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সামগ্রী, কৃষিপণ্য ও পরিবেশ-বান্ধব পণ্য রফতানি বাড়াতে বাড়তি উৎসাহ।

• বিশ্ব বাণিজ্যে ভারতের অবদান এখনকার ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩.৫ শতাংশ করা।

• ভারতীয় পণ্য রফতানি ও পরিষেবা রফতানিতে উৎসাহ প্রকল্প।

• যে-সব সংস্থা এই প্রকল্পের আওতায় দেশি কাঁচামালে তৈরি পণ্য রফতানি করবে, তাদের বাড়তি সুবিধা।

• বিশেষ আর্থিক অঞ্চল বা এসইজেড-এর ক্ষেত্রে রফতানির বাধ্যবাধকতা ২৫ শতাংশ কমানো এবং এগুলিকেও ওই দু’ই প্রকল্পের আওতায় আনা। লক্ষ্য লগ্নির গন্তব্য হিসেবে এসইজেড-এর গুরুত্ব বাড়ানো।

• মেক ইন ইন্ডিয়া, ডিজিটাল ইন্ডিয়া এবং স্কিল্‌স ইন্ডিয়া প্রকল্পের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বৈদেশিক বাণিজ্য নীতি রূপায়ণ।

ই-কমার্সে গুরুত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ বেশি, এমন সব শিল্পকে রফতানিতে উৎসাহ দেওয়ার জন্য বেছে নিয়েছে কেন্দ্র। এই তালিকায় আছে: হস্ত-তাঁতে বোনা সামগ্রী, বই ও পত্র-পত্রিকা, চামড়ার জুতো, খেলনা ও বিশেষ নকশার ফ্যাশনদুরস্ত পোশাক। এই সব পণ্য ক্যুরিয়র আইনের আওতায় নয়াদিল্লি, মুম্বই ও চেন্নাই বিমানবন্দর দিয়ে রফতানির অনুমতি দেওয়া হবে বলে বাণিজ্য নীতিতে জানানো হয়েছে। গোটা ব্যবস্থাটি যাতে দ্রুত করা যায়, তার জন্য উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় রাজস্ব দফতর। এক লপ্তে ২৫ হাজার টাকা মূল্যের রফতানিতে বাড়তি উৎসাহ মিলবে বলে সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, এত দিন প্রতি বছর বৈদেশিক বাণিজ্য নীতি ফিরে দেখা হত। এ বার তা আড়াই বছর বাদে পর্যালোচনা করা হবে।

নতুন নীতি বৈদেশিক বাণিজ্য আরও বাড়ানোর পথ খুলে দেবে বলে মনে করছে শিল্প মহল। বিশেষ আর্থিক অঞ্চল ও ই-কমার্সে উৎসাহ দেওয়ার বিষয়টি বিশেষ করে তাদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। রফতানিকারীদের সংগঠন ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্টস অর্গানাইজেশন বা ফিও-র প্রেসিডেন্ট এস সি রলহান বলেন, ‘‘এটি একটি ব্যতিক্রমী নীতি।’’ তবে রফতানি ঋণে সুদ ছাড়ের বিষয়টি শীঘ্রই ঘোষণার দাবি জানান তিনি। তাঁর মতে, রফতানির নতুন বরাত পাওয়ার জন্য তা জরুরি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE