বাজার দ্রুত বাড়ছে ঠিকই। কিন্তু সেই সঙ্গে কঠিন হচ্ছে প্রতিযোগিতাও। আর অনলাইনে ফ্যাশন পণ্যের বিক্রি বাড়ানোর সেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বড় সংস্থাগুলির সঙ্গে দৌড়ে পিছিয়ে পড়ছে বহু ছোট মাপের সংস্থা।
গত মাসেই ভারতের বৃহত্তম ই-কমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্ট কিনে নিয়েছে গ্লোবাল ফ্যাশন গ্রুপের অনলাইন ফ্যাশন সংস্থা জাবংকে। অনলাইন ফ্যাশন বাজারে দখল বাড়াতে দু’বছর আগে ফ্লিপকার্ট কিনেছিল অনলাইন সংস্থা মিন্ত্রাকেও। এ বার সেই মিন্ত্রার মাধ্যমেই জাবং ঝুলিতে পুরেছে তারা। এর আগে ক্রাফট্সভিলার মতো অনলাইন ফ্যাশন সংস্থাও তিনটি ছোট ছোট সংস্থাকে কিনেছে।
শুধু জাবং নয়। লোকসানের বোঝায় নুইয়ে পড়ছে আরও কিছু ফ্যাশন পোর্টাল। যেমন, ইতিমধ্যেই ঝাঁপ বন্ধ করেছে ফ্যাশনারা। ফ্যাশন পণ্য বিক্রির এই স্টার্ট-আপটির প্রতিষ্ঠাতা অরুণ সিরদেশমুখ আপাতত অ্যামাজনে ফ্যাশন বিভাগের কর্তা। পুরো ব্যবসা না গুটোলেও ফ্রিকালচার ও জোভির মতো ছোট অনলাইন সংস্থার নিজস্ব সাইটেও বিক্রি বন্ধ। শুধু ফ্লিপকার্ট ও অ্যামাজনে তাদের জিনিস মিলছে। অর্থাৎ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বড় অনলাইন সংস্থার বিক্রেতা হয়ে উঠছে ছোট মাপের ওই ফ্যাশন পোর্টালগুলি।
গুগ্ল ইন্ডিয়ার রিপোর্ট বলছে, ২০২০ সালের মধ্যে নেট বাজারে মোট ব্যবসা দাঁড়াবে দশ হাজার কোটি ডলার। যার ৩,৫০০ কোটি আসবে শুধু ফ্যাশন পণ্য থেকেই। এর টানেই সেই বাজার দখলে মরিয়া ছোট-বড় সংস্থাগুলি।
টিকে থাকতে সব অনলাইন ফ্যাশন সংস্থাই মোটা ছাড় দিয়েছে। ক্রেতা টানার এই চিরকালীন কৌশল কাজে এসেছে ঠিকই। কিন্তু এতে পুঁজিতে টান পড়েছে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। নতুন পুঁজি টানতে পারেনি যারা, তারা লোকসানের ধাক্কায় জমি হারিয়েছে। যে তালিকায় বেশির ভাগ নামই ছোট ফ্যাশন পোর্টালের। বিশেষত ই-কমার্স সংস্থাগুলির পাশাপাশি নেট বাজারের মোট ৩০% দখলে রাখা ফ্যাশন দুনিয়ায় যেহেতু পা রেখেছে বড় শিল্প গোষ্ঠীগুলিও। যেমন, টাটা, আদিত্য বিড়লা, রিলায়্যান্স। পা মেলাচ্ছে ম্যাক্স, ফ্যাব ইন্ডিয়া, প্যান্টালুনসের মতো নামী-দামি রিটেল ব্র্যান্ড।
যদিও ছোটরা সবাই সিঁটিয়ে নেই। মাঝারি মাপের অনলাইন ফ্যাশন সংস্থা ভুনিক ও লাইমরোড ডট কম কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রতিটি ব্যবসার নিজস্ব কিছু শর্ত থাকে। সেগুলি মেনে চললে ব্যবসা চলবেই। লাইমরোডের প্রধান শুচি মুখোপাধ্যায় জানান, ভারতের সাত হাজার কোটি ডলারের এই বাজারের মাত্র ২% অনলাইনের দখলে। ফলে ব্যবসার জায়গা অনেক। তিনি বলেন, ‘‘রীতি-নীতি মেনে ব্যবসা করলে অসুবিধা নেই। আমরা আকাশছোঁয়া লাভ করিনি। কিন্তু লোকসানও নয়।’’ একই দাবি ভুনিকের সুজাত আলিরও। তাঁর মতে, বাজার এতটাই বড় যে, সব ধাপেই বিভিন্ন সংস্থার সুযোগ রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy