Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
অভিযোগ বহু ক্রেতার

আধার জমা দিয়েও মিলছে না রান্নার গ্যাসে ভর্তুকির টাকা

গত জানুয়ারি থেকেই রান্নার গ্যাসে ভর্তুকির টাকা সরাসরি গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেছে কেন্দ্র। অথচ নিয়ম মেনে আধার নম্বর-সহ যাবতীয় তথ্য জমা দেওয়ার পরও বহু গ্রাহক এখনও সেই ব্যবস্থার বাইরে রয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ। এমনকী এই সমস্যার কারণ ও তার সমাধান নিয়ে কারও কাছ থেকে সদুত্তর মিলছে না বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।

দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০১৫ ০৩:১২
Share: Save:

গত জানুয়ারি থেকেই রান্নার গ্যাসে ভর্তুকির টাকা সরাসরি গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেছে কেন্দ্র। অথচ নিয়ম মেনে আধার নম্বর-সহ যাবতীয় তথ্য জমা দেওয়ার পরও বহু গ্রাহক এখনও সেই ব্যবস্থার বাইরে রয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ। এমনকী এই সমস্যার কারণ ও তার সমাধান নিয়ে কারও কাছ থেকে সদুত্তর মিলছে না বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।

তেল সংস্থা সূত্রের হিসেব অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ৯৯ লক্ষ ৬৮ হাজার গ্রাহকের মধ্যে প্রায় ৮৮% তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ভর্তুকি পাওয়ার উপযুক্ত হয়েছেন। উল্লেখ্য, যাঁদের আধার আছে, এই ব্যবস্থায় নাম নথিভুক্তির জন্য তাঁদের ডিস্ট্রিবিউটর ও ব্যাঙ্ক, দু’জায়গাতেই ওই নম্বর-সহ প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দেওয়ার কথা। আর যাঁদের তা নেই, তাঁদের গ্যাসের সংযোগ ও ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত তথ্য জমা দিতে হবে ডিস্ট্রিবিউটর বা ব্যাঙ্কের কাছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, আধার না-থাকাদের নিয়ে সমস্যা না হলেও, গোল বেধেছে ওই নম্বর জমা দেওয়া গ্রাহকদের একাংশকে নিয়ে। তাঁরা দু’জায়গাতেই আধার ও অন্যান্য তথ্য জমা দিয়েছেন। কিন্তু এখনও তাঁদের নাম এই ব্যবস্থায় নথিভুক্ত হয়নি। অনেকেরই দাবি, সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে তাঁরা দেখেছেন, প্রয়োজনীয় তথ্য তেল সংস্থায় নথিভুক্ত হলেও ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে এখনও তা হয়নি। তেল সংস্থাগুলির অবশ্য দাবি, প্রথমত, এ রকম গ্রাহকের সংখ্যা খুবই কম। আর দ্বিতীয়ত, ব্যাঙ্কের সঙ্গে ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন-এর (যাঁদের মাধ্যমে ভর্তুকির টাকা বণ্টন করা হয়) যে যোগসূত্র রয়েছে, কোনও প্রযুক্তিগত সমস্যার জেরে তাতে সমস্যা হওয়ার কারণেই ওই গ্রাহকেরা এখনও এই ব্যবস্থার বাইরে।

তবে ইন্ডেনের এক কর্তার পরামর্শ, এ রকম ক্ষেত্রে গ্রাহকেরা ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত তথ্য ফের ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছে জমা দিন। ডিস্ট্রিবিউটরেরাই তা নথিভুক্ত করে দেবেন। এবং সংশ্লিষ্ট গ্রাহক ভর্তুকি পাওয়ার উপযুক্ত হবেন।

নিয়ম মাফিক, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে যে সব গ্রাহক এই ব্যবস্থার আওতায় আসতে পারবেন না, তাঁরা ১ এপ্রিল থেকে ৩০ জুনের মধ্যে যে ক’টি ভর্তুকির সিলিন্ডার কিনবেন, সেগুলির ভর্তুকির টাকা আর পাবেন না। কিন্তু ৩০ জুনের মধ্যে আওতায় এলে পরে যে দিন গ্যাস বুক করবেন, তার পর সেই ভর্তুকির টাকা একসঙ্গে পেয়ে যাবেন।

এ দিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সচ্ছল গ্রাহকদের ভর্তুকির টাকা ছেড়ে দেওয়ার যে আর্জি জানিয়েছেন, তাতে সামিল হওয়ার জন্য এ বার সিআইআইয়ের সদস্যদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন বণিকসভাটির প্রেসিডেন্ট সুমিত মজুমদার। এ দিন মুম্বইয়ে তাঁদের জাতীয় পর্ষদের সভায় সুমিতবাবু ওই আর্জি জানান।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE