নতুন ইটুও -প্লাস গাড়িটির হাত ধরে এ বার দেশের বাজারে তাদের বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি দ্বিগুণ করার আশায় বুক বাঁধছে মহীন্দ্রা ইলেকট্রিক। সংস্থার দাবি, ব্যক্তিগত ব্যবহারের পাশাপাশি আগামী দিনে সেটি ট্যাক্সি ও কর্পোরেট সংস্থার গাড়ি হিসেবেও দৌড়বে রাস্তায়।
সম্প্রতি কলকাতার বাজারে আনুষ্ঠানিক ভাবে নতুন বৈদ্যুতিক গাড়ি ইটুও-প্লাস এনেছে সংস্থাটি। এত দিন চালু তাদের ইটুও গাড়িটি ছিল দুই দরজার। ইটুও-প্লাস চার দরজার।
সংস্থার হবু সিইও মহেশ বাবু এ দিন জানান, গত অর্থবর্ষে তাঁরা প্রায় ১,০০০টি বৈদ্যুতিক গাড়ি বেচেছিলেন। আশা, এ বার তা দ্বিগুণ হবে। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা রেভা অধিগ্রহণের পরে মহীন্দ্রা গোষ্ঠী ২০১৩ সালে ইটুও বাজারে আনে। তার পর আসে ই-ভেরিটো, ই-সুপ্রিমো। এ বার ইটুও-প্লাস।
বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির খরচ বেশি হওয়ায় এবং প্রযুক্তিগত কিছু সমস্যার কারণে এখনও ভারতে সে ভাবে ছড়ায়নি তার বাজার। গাড়িগুলির দামও বেশি। কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্য অবশ্য এ জন্য আর্থিক সুবিধা দিচ্ছে। মহেশ বাবু জানান, ইটুও-প্লাসের একটি সংস্করণ (পি২) বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহারের জন্য বেচবে সংস্থা। তাঁর দাবি, বেঙ্গালুরুতে একটি সংস্থা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের যাতায়াতের জন্য ১২০টি ইটুও গাড়ি বাণিজ্যিক ভাবে ভাড়া দেয়। সেগুলি দিনে গড়ে ২০০ কিমি চলে। ইটুও-প্লাস আসায় এ ধরনের চাহিদা আরও বাড়বে। বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কথাও শুরু হয়েছে। আপাতত ২১টি জায়গায় বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি করে মহীন্দ্রা।
সংস্থা জানিয়েছে, ইটুও-প্লাসের প্রতি কিমি চলার খরচ ৭০ পয়সা। বাড়ির ১৫ ‘অ্যাম্পিয়ার’ শক্তির চার্জ-পয়েন্ট দিয়ে ৫-৬ ঘণ্টায় ব্যাটারি পুরো চার্জ হবে। রিমোট নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় বাইরে থেকে গাড়ির শীতাতপ যন্ত্র আগাম চালুর সুবিধা মিলবে। এবং প্রতি বার ব্রেক কষার সময়ে ব্যাটারি নিজে থেকেই কিছুটা চার্জ নিয়ে নেবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy