গাড়ির দাম বেশি। উপরন্তু সমস্যা ব্যাটারি ‘চার্জ’ দেওয়ার। দুইয়ের জেরে ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজার এখনও যৎসামান্য। চাহিদা বাড়াতে কেন্দ্র যেমন গাড়ি কেনায় ভর্তুকি দিচ্ছে, তেমনই ব্যাটারি ভাড়া দেওয়ার সাধারণ কেন্দ্র চালুর কথাও ভাবছে। পাশাপাশি, ইন্ডিয়ান অয়েলের মতো সংস্থা পেট্রোল-ডিজেলের পাম্পের মতো ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার পরিকাঠামোও চালু করতে চলেছে।
ইন্ডিয়ান অয়েল (আইওসি) সূত্রে খবর, চলতি অর্থবর্ষেই কলকাতা বা সংলগ্ন এলাকায় বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার পুরোদস্তুর পরিকাঠামো গড়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থা। কারণ দেশে মহীন্দ্রা, হিরো ইলেকট্রিক চার চাকা, দু’চাকা বা তিন চাকার ই-রিকশার মতো বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করছে। চার্জের পরিকাঠামো থাকলে সেগুলির চাহিদা বাড়বে। আইওসি-র এক কর্তার কথায়, ‘‘আমরা শুধু পেট্রোল-ডিজেলের ব্যবসা করা সংস্থা নই। বরং সার্বিক ভাবে একটি শক্তি (এনার্জি) সংস্থা। তাই নানা ধরনের জ্বালানির ব্যবস্থাই ভবিষ্যতে রাখতে চাই।’’
সংস্থা সূত্রের ইঙ্গিত, প্রথমে একেবারে এ ধরনের নতুন পাম্প চালুর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। সেখানে পেট্রোল-ডিজেলের সঙ্গেই পেট্রো-পণ্যের সুরক্ষা বিধি মেনে ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থাও থাকবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে। কত জায়গা প্রয়োজন, কী ধরনের পরিকাঠামো জরুরি, এ সব নিয়েই প্রাথমিক কথাবার্তা চলছে। অন্য দিকে, চালু পেট্রোল-ডিজেল পাম্পেও সেই সুবিধা চালু করা যায় কি না, চাহিদা বুঝে পরে তা খতিয়ে দেখবে সংস্থা।
ইতিমধ্যেই ই-রিকশা কিংবা স্কুটারের ব্যাটারি ভাড়ার কেন্দ্র খোলার কথা ভাবছে কেন্দ্র। অপ্রচলিত শক্তি মন্ত্রক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতর, সোসাইটি অব ম্যানুফ্যাকচারার্স অব ইলেকট্রিক ভেহিক্লস সমেত সব পক্ষ বার কয়েক বৈঠক করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, ব্যাটারি ভাড়ার কেন্দ্র চালু নিয়ে নীতিগত সিদ্ধান্তও হয়েছে। তবে তা চূড়ান্ত করতে অর্থ মন্ত্রকের সায় জরুরি। তাদের কাছেও প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy