কলকাতার বাজারে গত ১০ দিনে সোনা প্রতি ১০ গ্রামে পড়েছে প্রায় ৮২০ টাকা। ৩০ নভেম্বর যেখানে ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারাটের দর ছিল জিএসটি সমেত ৩০,২৭০ টাকা, শনিবার তা-ই নেমেছে ২৯,৪৫০ টাকায়। সোনা ব্যবসায়ী মহলের আশা, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে ফের ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করবে বাজার।
ব্যবসায়ীদের দাবি, সাম্প্রতিক এই ভাটার পেছনে মূলত কাজ করেছে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম কমে যাওয়া। আর সেটা হওয়ার প্রধান কারণ লগ্নি হিসেবে সোনার চাহিদা কমা। আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের দাম বৃদ্ধিই এর জন্য দায়ী। যাঁরা আগে সোনায় পুঁজি ঢালতেন, তাঁদের একটা বড় অংশ এখন ঝুঁকেছেন বিদেশি মুদ্রার বাজারের দিকে। ফলে পিছিয়ে পড়েছে সোনা। আর তার জের এসে পড়েছে এ দেশেও।
তবে অনেক ব্যবসায়ী আবার বলছেন, ডিসেম্বরের এই সময়টায় বরাবরই সোনার চাহিদা একটু কম থাকতে দেখা যায়। সে দিক থেকে তাঁরা হালে এর দাম এতখানি নীচে নেমে যাওয়ার মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু দেখছেন না। স্বর্ণ শিল্প বাঁচাও কমটির কার্যকরী সভাপতি বাবলু দে বলেন, ‘‘প্রতি বছরই ডিসেম্বরের এই সময় ভারতে সোনার চাহিদা কমে। এটি আমদানির ক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে ভারত প্রথম সারিতে। ফলে চাহিদা কমায় নামে তার আমদানিও। যার প্রভাব আবার উল্টে আন্তর্জাতিক বাজারেও গিয়ে পড়ে।’’
ওয়েস্ট বেঙ্গল বুলিয়ান মার্চেন্টস অ্যান্ড জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি অনিল আঢ্য অবশ্য বলছেন, ‘‘বড় দিন এবং নতুন বছর শুরুর আগের সময়ে অর্থাৎ চলতি মাসের ২৫-২৬ তারিখের পর থেকেই সোনার চাহিদা বাড়বে। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে উৎসবের মরসুম শুরু হবে তখন। ফলে চড়বে দাম।’’
এ দিকে, বাবলুবাবুর দাবি, সোনার আমদানি শুল্ক কমতে পারে বলে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের সচিবের আশ্বাস মিলেছে। তাঁর ধারণা, আমদানি শুল্ক ১০% থেকে কমে ৫ শতাংশের কাছে নামতে পারে। বাবলুবাবু বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরেই শুল্ক কমানোর দাবি জানাচ্ছি। পাঁচ বছরে তা ২% থেকে বেড়ে ১০% হয়েছে। শুল্ক বাড়ার পর থেকেই দ্রুত বেড়েছে চোরাপথে সোনা আমদানি। মনে হয় এ সব বিবেচনা করেই কেন্দ্র শুল্ক ছাঁটতে চলেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy