Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

আগে নীতি, তবে না গাড়ি!

পীযূষ গয়াল বা নিতিন গডকড়ীর মতো মন্ত্রীরা বারবার বলছেন ২০৩০ সালে ভারতের রাস্তায় পুরোদস্তুর বৈদ্যুতিক গাড়ি চালানোর কথা।

ঐতিহ্য: গাড়ি মেলায় ‘হেরিটেজ কার’। বুধবার।

ঐতিহ্য: গাড়ি মেলায় ‘হেরিটেজ কার’। বুধবার।

দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:৫০
Share: Save:

বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে কেন্দ্রের কোর্টেই বল ঠেলার রাস্তায় অনড় রইল শিল্পমহল। এমনকী গাড়ি মেলার (অটো এক্সপো) চত্বরেও স্পষ্ট হল তাদের সেই বার্তা।

পীযূষ গয়াল বা নিতিন গডকড়ীর মতো মন্ত্রীরা বারবার বলছেন ২০৩০ সালে ভারতের রাস্তায় পুরোদস্তুর বৈদ্যুতিক গাড়ি চালানোর কথা। সরকারের সেই লক্ষ্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আজ মেলায় মারুতি-সুজুকি ও টয়োটা কির্লোস্কর মোটরস ২০২০ সালে এবং হুন্ডাই ২০১৯-এ বৈদ্যুতিক গাড়ি আনার কথা জানাল। এই ভাবনার ইঙ্গিত দিল অন্য কিছু সংস্থাও। তবে একই সঙ্গে কেন্দ্রকে তাদের পাল্টা বার্তা, সুস্পষ্ট নীতি তৈরি ও আর্থিক সুবি‌ধা দিয়ে তার সহায়ক পরিবেশ গড়া ও বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির খরচ কমানোর দায়িত্ব নিতে হবে কেন্দ্রকেও।

প্রচলিত ধারা মেনে মেলার প্রথম দিনে সংবাদমাধ্যমের সামনে নতুন ও ভবিষ্যতের গাড়ি (কনসেপ্ট কার) তুলে ধরে সংস্থাগুলি। এ বারই সেখানে প্রথম বার বাড়তি গুরুত্ব পেয়েছে বৈদ্যুতিক গাড়ি। মারুতি, হোন্ডা, কিয়া রেনো, হিরো ইলেকট্রিক, টাটা মোটরস, টয়োটা, মহীন্দ্রা, সকলেই ভবিষ্যতের বৈদ্যুতিক গাড়ি দেখায়। হুন্ডাই ও সদ্য ভারতে পা রাখা কোরীয় সংস্থা কিয়া মোটরস দেখায় বিদেশে বিক্রি করা তাদের ওই ধরনের গাড়ি।

তবে হুন্ডাইয়ের অন্যতম ডিরেক্টর রাকেশ শ্রীবাস্তবের কথায়, ‘আমরা প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করব। সরকার পরিকাঠামো, আর্থিক সুবিধা দেবে। যেমন ১৫ বছর পুরনো গাড়ি বাতিলের জন্য আর্থিক সুবিধা লাগে।’’

রেনো-ইন্ডিয়ার শীর্ষ কর্তা সুমিত সাহনি ও মারুতি-সুজুকির এগ্‌জিকিউটিভ ডিরেক্টর আর এস কালসির মতে, এই খাতে লগ্নির আগে স্পষ্ট কেন্দ্রীয় নীতি আনা হোক। এমনকী মারুতি-সুজুকির এমডি কেনিচি আয়ুকায়া বা গাড়ি শিল্পের সংগঠন সিয়ামের ডিডিজি সুগত সেনের মতো অনেকে হাইব্রিড (পেট্রোল-ডিজেলের সঙ্গে বৈদ্যুতিক) গাড়ি তৈরির পক্ষেও সওয়াল করেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE