সাম্প্রতিক সমীক্ষায় ভারতের বৃদ্ধির পূর্বাভাস ছাঁটাই করেছে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (আইএমএফ)। তবে জানিয়েছে, বৃদ্ধির হারে চিনকে পিছনে ফেলে দ্রুততম অর্থনীতির দৌড়ে এগিয়ে থাকবে ভারতই। বৃহস্পতিবার এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কও (এডিবি) বলেছে একই কথা। কিন্তু এ দিনই যোজনা কমিশনের প্রাক্তন সদস্য অরুণ ময়রার দাবি, জিডিপি বাড়লেও দেশে কাজের সুযোগ কম তৈরি হচ্ছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, ভারতে বৃদ্ধির হার কি শুধুই সংখ্যা? যে বৃদ্ধি কাজের সুযোগ তারি করতে পারে না, তাতে আখেরে লাভ কী?
এডিবির রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে পারে ৭.৩%। পরের অর্থবর্ষে ৭.৬%। সরকারি বিনিয়োগ, বেসরকারি লগ্নি ও উৎপাদন ক্ষমতার ব্যবহার বৃদ্ধি— এই তিন ক্ষেত্রের উপর ভর করেই ভারত দ্রুততম আর্থিক বৃদ্ধির হার অর্জন করবে।
ইন্ডিয়ান চেম্বারের সভায় ময়রার দাবি, প্রথাগত মাপকাঠির বাইরে গিয়ে বাস্তব সমস্যাগুলি দেখতে হবে। বৃদ্ধির দৌড়ে বাকি দেশকে পিছনে ফেললেও ভারতে কাজের সুযোগ তৈরি হচ্ছে কম। সম্পদের অসম বণ্টনে সমাজের উপরের স্তরের ১০ শতাংশের আর্থিক উন্নয়ন হচ্ছে। ময়রার বক্তব্য, ‘‘বিপুল ও কর্মক্ষম জনসংখ্যার জন্য বিশ্বে ভারতের গুরুত্ব আছে। কিন্তু উন্নয়নের ফসল সমাজের সব স্তরে না পৌঁছলে, সেই সুবিধাই দেশের বিরুদ্ধে যাবে।’’ তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, সাম্প্রতিক কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গণ প্রহারে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, অভিযুক্তেরা কর্মহীন।
ভারতে কাজের সুযোগ সে ভাবে তৈরি না হওয়ার ছবি ফুটে উঠেছে বিভিন্ন সমীক্ষায়। এই সমস্যায় উদ্বিগ্ন অমর্ত্য সেন, পল ক্রুগম্যানের মতো নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদরাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy